বিজেপি কি আপনাকে ডায়লগ দিতে বলেছিল? পুলিশের প্রশ্নে মিঠুন বললেন…
হাইকোর্টের নির্দেশে মানিকতলা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে মিঠুন চক্রবর্তীকে।
কলকাতা: ১৫ বছর আগে রিলিজ করেছিল এমএলএ ফাটাকেষ্ট। ‘রাজনীতিক’ মিঠুনের সেই ছবির একটা ডায়লগ নিয়ে আলোচনা আজও। ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত থেকে পদ্ম পতাকা ধরে এই মন্তব্যই করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলা ভাল ডায়লগ দিয়েছিলেন। তারপর একাধিক সভায় মিঠুনের মুখে শোনা গিয়েছে এই ডায়গল। যার জেরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হল তাঁকে। মানিকতলা থানায় এই ডায়লগের মাধ্যমে ‘উস্কানি’ ছড়ানো ও শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগ জমা পড়েছিল। রুজু হয়েছিল এফআইআরও। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে মানিকতলা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে মিঠুন চক্রবর্তীকে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ মিঠুন চক্রবর্তীকে মূলত দু’টি প্রশ্ন করে। এক, তিনি কি বিজেপি পার্টিতে যোগদান দিয়ে এতবার বাংলায় নির্বাচনী প্রচার করেছেন? না কি কোনও টাকার ভিত্তিতে বারংবার প্রচার সেরেছেন তিনি? উত্তরে মিঠুন জানান, তিনি পার্টির আদর্শে বিশ্বাসী। তাই তিনি নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন। দুই, এই ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’ ডায়গল কি বিজেপির তরফে তাঁকে বলতে বলা হয়েছিল? সে প্রশ্নে তিনি জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখেছেন এই ডায়লগে শ্রোতারা সাড়া দেয়। তাই নির্বাচনী প্রচারে তিনি এটি ব্যবহার করেছেন।
এ ছাড়াও ডায়লগের প্রেক্ষিত ও উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ জানতে চায় তাঁর কাছে। মানিকতলা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তাঁর মতে, মিনিট পনের মিঠুনের জিজ্ঞাসাবাদের একটি রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করবে পুলিশ। তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা গড়াবে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩(এ), ৫০৪,৫০৫ একাধিক ধারায় এফআইএর রুজু হয় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এরপর হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন তিনি। আবেদন পেয়ে হাইকোর্টই মিঠুন চক্রবর্তীকে মামলায় সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এরপর ভার্চুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, ডায়লগ মামলায় ‘মহাগুরু’কে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের