Supreme Court: ‘হ্যাটস অফ সুপ্রিম কোর্ট’, রাজ্যপাল সুপ্রিম তোপের মুখে পড়তেই একসুরে বললেন ওমপ্রকাশ-সাধনরা

সুমন মহাপাত্র | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 07, 2023 | 7:37 PM

Supreme Court: নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আচার্যের খুব বেশি ভূমিকা নেই। নির্বাচন পদ্ধতিতেও তাঁর ভূমিকা বেশি নেই। আচার্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলার শিক্ষককুলকে অসম্মান করে চলেছেন।

Supreme Court: ‘হ্যাটস অফ সুপ্রিম কোর্ট’, রাজ্যপাল সুপ্রিম তোপের মুখে পড়তেই একসুরে বললেন ওমপ্রকাশ-সাধনরা
সুপ্রিম রায় নিয়ে শিক্ষামহলে চাপানউতোর
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের হাত ধরে  ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হতেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল শিক্ষামহলে। শীর্ষ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে কেন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্য়পাল তথা আচার্য? সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে উদ্দেশ্য করে এই প্রশ্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যপাল আর কোনও অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ তাঁদেরই জয়, দাবি সদ্য প্রাক্তন উপাচার্যদের। সুপ্রিম নির্দেশ আসতেই ফের একবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপচার্য ওমপ্রকাশ  মিশ্র, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্বাগত সেন, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীরা।

নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আচার্যের খুব বেশি ভূমিকা নেই। নির্বাচন পদ্ধতিতেও তাঁর ভূমিকা বেশি নেই। আচার্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলার শিক্ষককুলকে অসম্মান করে চলেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। ১৩ তারিখ আচার্যের একটা চিঠি পাই। আমি উপাচার্যের কাজ করতে পারিনি, তাই তিনি আমাক সরিয়ে দিতে চাইছেন। অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমি যাদবপুরে জয়েন করতে আসি। ২৯ তারিখ আমি চিঠি পাই রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে আমাকে নাকি রিলিজ অর্ডার আনতে হবে। আমি বললাম যে এরকম নিয়ম নেই। তারপরেও রেজিস্ট্রার কিছু জানাননি। আমি বেতন পাচ্ছি না। আদালতে মামলা চলছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র। তাঁর নিশানায় কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ বিচারপতি। বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ যেভাবে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাক ধ্বংস করে চলেছেন। সেক্ষেত্রে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারব না। ১১ তারিখ এই চক্রান্তে কারা রয়েছেন, কারা বিচারব্যবস্থাকে পঙ্গু করতে চাইছে, তাদের কীর্তিকলাপ  ১১ তারিখ ফাঁস করব। হ্যাটস অফ সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে এটা আমাদের জয়। যদি কোনও বিচারপতি আইন বিরুদ্ধ কাজ করেন, তাহলে প্রতিবাদ হবে। আচার্যকে বলছি আপনি আমাদের নামে যা বলেছেন তা অন্যায়। যা করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে না। রিগ্রেট করুন। আপনাকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছে। যদি আপনি এটা না করেন, তাহলে কোর্টে যেতে বাধ্য হব।

Next Article