কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আরও স্বস্তি বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আরও এক মাস স্থগিতাদেশ বাড়ল, তাতে আরও বেশ খানিকটা স্বস্তি পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় এক রাতের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ আরও পাঁচ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ এখনই সিবিআই হাজিরা দিতে হবে না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যে মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতেও তদন্ত কমিটি নতুন করে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল,বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা শুনতে পারবেন না। বিষয়টি আরও এক ধাপ এগিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, যে মামলাগুলির ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি আপাতত তদন্ত করবে কমিটিই। আপাতত পাঁচ সপ্তাহ সিবিআই এ বিষয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে তৈরি কমিটিই এই বিষয়টি তদন্ত করবে। এই কমিটিই রিপোর্ট জমা দেবে। অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। তারপর যদি মামলাটি ওঠে, তিনি শুনতে পারবেন। এক্ষেত্রে যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বস্তি, অন্যদিকে, স্বস্তি এসএসসি প্রাক্তন কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ চার কর্তার।
কেন এসএসসি দুর্নীতিতে নাম জড়াল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর?
অভিযোগ যে,নিয়োগের আগে যে সুপারিশ কমিটি তৈরি হয়েছিল, তা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মাফিক। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, “আদালত সুপারিশ কমিটি গঠনের বিষয়টিকেই বেআইনি বলেছে। কারণ কেউ এই কমিটি গঠনই করতে পারে না। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই কমিটি কোনও সরকারি আদেশে হয়নি। মন্ত্রীর নির্দেশে জয়েন্ট সেক্রেটারি করেছেন। তাই এই কমিটিই বেআইনি।” এই সুপারিশ কমিটি প্যানেল তৈরি করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্যানেলে থাকা ৬০৯ জন পাশই করেননি। কিন্তু তাঁরা চাকরি পেয়েছেন।