HC On Recruitment Scam: ‘পার্থ মন্ত্রী না থাকলেও তিনি যে কতটা প্রভাবশালী, তা আদালতে বসেই বুঝছি’, মুখ্যসচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির

HC On Recruitment Scam: রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, "এটা কোনও সাধারণ ল্যাথার্জি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এভাবে স্টান্ট চলে না। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বিশ্বাস থাকে।" 

HC On Recruitment Scam: 'পার্থ মন্ত্রী না থাকলেও তিনি যে কতটা প্রভাবশালী, তা আদালতে বসেই বুঝছি', মুখ্যসচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির
কলকাতা হাইকোর্ট। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2024 | 4:26 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে তুলোধনা করেন। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “পার্থ মন্ত্রী না থাকলেও তার ক্ষমতা বেশ বুঝতে পারছি আদালতে বসে।”  রাজ্যের তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, “আমদের সাত সপ্তাহ সময় লাগবে।” বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি তখন বলেন, “খুব খারাপ। এটা ইচ্ছাকৃত দেরি।” বিচারপতি বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন করেন, “আদালত অবমাননার কৌশল নিচ্ছেন নাকি? আমাদের নির্দেশের অবমাননা এটা? এই মামলার দ্রুত হওয়ার গুরুত্ব বুঝুন। আপনি এজি হয়ে যদি না বোঝেন এবং আদালতের কথা না শোনেন, তাহলে বিচারব্যবস্থার অপমান। সিরিয়াস ম্যাটার।”

রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, “এটা কোনও সাধারণ ল্যাথার্জি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এভাবে স্টান্ট চলে না। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বিশ্বাস থাকে।”

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও এদিন আদালতে সওয়াল করেন। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। তারপর একে একে গ্রেফতার করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা-সহ একাধিক সরকারি আধিকারিককে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর মসে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই অনুমোদন দেয়নি রাজ্য।

এদিন বিচারপতি সে প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা জানমতাম আপনারা খুব ভালো বন্ধু। আপনার বন্ধুরা আপনাকে রক্ষা করছে। শেষ দিনেও যদি রাজ্য অনুমোদন না দেয় তাহলেও অবাক হব না। এসব স্ট্র‍্যটেজি খুব ভালো বুঝি।”  পার্থকে বিচারপতি বলেন, ”  আপনি প্রভাবশালী ছিলেন। এতটাই প্রভাবশালি ক্রিমিনাল প্রক্রিয়ার ওপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।”   বিচারপতির মন্তব্য, “এটা প্রতিষ্ঠানের ষড়যন্ত্র। মুখ্যসচিবের পেন উঠছে না? ভাবা যায় এমন অবস্থা! আমরা বেশ বুঝতে পারছি এর কারণ। আপনার যখন গোপন বন্ধু আছেন তারাই আপনার জামিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।”