Rachna Banerjee: আসব বলেও কেন আসেননি? দলের কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে রচনা
Rachna Banerjee: এদিন পান্ডুয়ার বাটিকা বৈঁচী অঞ্চলের বৈঁচী গ্রাম চৌবেরা সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আজ প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল রচনার। সেই মতো প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন দলের কর্মীরা। জমায়েতও হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই।
হুগলি: কথা দিয়েও প্রচারে আসেননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই ক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। এদিকে সামনের সোমবার ভোট হুগলিতে। এবারে সেখানে রচনাকে দাঁড় করিয়ে বড় চমক দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। রচনার হয়ে জোরকদমে ভোট প্রচারও করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এরইমধ্যে এ ঘটনায় অস্বস্তিতে হুগলির তৃণমূল নেতারা। সূত্রের খবর, এদিন পান্ডুয়ার বাটিকা বৈঁচী অঞ্চলের বৈঁচী গ্রাম চৌবেরা সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আজ প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল রচনার। সেই মতো প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন দলের কর্মীরা। জমায়েতও হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই। কিন্তু, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তখনও দেখা মেলেনি রচনার।
এদিকে এরইমধ্যে দ্বারবাসিনী এলাকা থেকে প্রচার সেরে বৈঁচী চৌমাথায় রচনা যখন আসেন তখন বৈঁচীর তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। রীতিমতো বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন। তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই বলতে থাকেন এখনই যদি প্রার্থীকে না পাওয়া যায় তাহলে পরে কী হবে! এলাকায় প্রচার চলল প্রার্থী আসনেব বলে। কিন্তু, তিনি না আসায় এখন কর্মীদের এলাকার লোকজনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
যদিও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব সময় মানুষের পাশে আছি তাদের জন্য প্রচার করছি।পরশু সাড়ে সাতটার সময় আবার আসব বলেছি আজকে সময় ছিল না। হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমি একা মানুষ, অনেক জায়গা আছে কিন্তু সময় কম।
এদিকে এই সুযোগে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, মানুষের সেবা করা রচনার কাজ নয়। ওনাকে দিদি নম্বর ওয়ানে মানায়। উনি মানুষের কাছে পৌঁছাবেন কী করে আগে তো ওনাকে দিদি নম্বর ওয়ানে পৌঁছাতে হবে। এতেই বোঝা যাচ্ছে আগামীদিনে উনি হুগলিতে কতটা সময় দেবেন।