Lungs Transplant in Kolkata: ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পর স্থিতিশীল রোগী, রয়েছেন আইটিইউতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 21, 2021 | 4:12 PM

Medica : কলকাতার বাসিন্দা বছর ৪৬-এর ওই রোগীকে পাঁচ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Lungs Transplant in Kolkata: ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পর স্থিতিশীল রোগী, রয়েছেন আইটিইউতে
প্রথমবার ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সাক্ষী থাকল কলকাতা। প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা : ফুসফুস প্রতিস্থাপনের (Lungs Transplant) পর আপাতত স্থিতিশীল গ্রহীতার শারীরিক অবস্থা। অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এখন আইটিইউ (ITU)-তে রাখা হয়েছে। কলকাতার বাসিন্দা বছর ৪৬-এর ওই রোগীকে পাঁচ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, “তাঁর (রোগীর) অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। প্রথম তিনদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপরে আমরা কতটা এগোতে পারলাম, তা বুঝতে পারব। এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। এখনও পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকভাবে এগোচ্ছে।”

সুরাটের বাসিন্দা ৫২ বছরের মনীশ শাহর মস্তিস্কে টিউমার ধরা পড়ে। গুজরাটেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। পরদিন চিকিৎসকরা মনীশ শাহকে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা করেন। পরিবারের তরফে মনীশের অঙ্গদানের অঙ্গীকার করা হয়। তখনই গোটা দেশের মধ্যে ফুসফুস গ্রহীতা হিসেবে মেডিকাতে চিকিৎসাধীন ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়।

তারপরই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সুরাট পৌঁছে যান। দাতার শরীর থেকে সংগ্রহ করেন ফুসফুস। বিমানে আনা হয় কলকাতায়। বাংলায় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের নজির এর আগে ছিল না। সোমবার মহানগরে তৈরি হল সেই রেকর্ড। প্রথমবার ফুসফুস প্রতিস্থাপন হল কলকাতায়। মুকুন্দপুরের মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়। রাত ১০টার কিছু পরে সুরাট থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ফুসফুস। গ্রিন করিডর করে তা নিয়ে যাওয়া হয় মুকুন্দপুরে। সেখানে রাতেই হয় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডাক্তার কুণাল সরকারের নেতৃত্বে এদিনের যে ইতিহাস তৈরি হল তার সাক্ষী ছিলেন চিকিৎসক অর্পণ চক্রবর্তী, চিকিৎসক সপ্তর্ষি রায়, চিকিৎসক সৌম্যজিৎ ঘোষ, চিকিৎসক দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের উপস্থিতিতেই এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে ফাইব্রোসিস। দীর্ঘদিন একমোয় থাকার ফলে রক্তক্ষরণের একটা সম্ভাবনা যেমন রয়েছে। একই ভাবে অন্যান্য কোনও জটিলতা তৈরি হয় কি না তাও নজরে রাখছেন চিকিৎসকরা।

শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা পূর্ব ভারতে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ইতিহাস গড়ল মুকুন্দপুরের এই বেসরকারি হাসপাতাল। এর আগে পূর্ব ভারতে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কোনও ইতিহাস নেই। রাজ্যের সবথেকে বড় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে ইতিমধ্যে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তাঁরও ফুসফুস প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। প্রথমে একমো সাপোর্টে রাখা হলেও পরে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য চেন্নাইতে নিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে কলকাতা থেকে চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, কলকাতায় তা সম্ভব হয়নি।

অবশ্য কলকাতায় ফুসফুস প্রতিস্থাপন না হলেও কিডনি প্রতিস্থাপনের সাক্ষী থেকেছে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে শুরু করে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছে। এবার ফুসফুস প্রতিস্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করল তিলোত্তমা।

আরও পড়ুন : Lungs Transplant in Kolkata: ফুসফুস প্রতিস্থাপনে ইতিহাস কলকাতায়, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে যুবক

Next Article