শুক্রবার ফের হবে নারদ মামলার শুনানি, শোনা হবে পুনর্বিবেচনার আর্জি

জামিনে যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের তরফে। শুক্রবার সেই আর্জিই প্রথমে শুনবেন বিচারপতিরা।

শুক্রবার ফের হবে নারদ মামলার শুনানি, শোনা হবে পুনর্বিবেচনার আর্জি
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 5:07 PM

কলকাতা: নারদ মামলায় এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আগামিকাল, ফের হবে এই মামলার শুনানি। জামিনে যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী।  শুক্রবার বেলা ১২ টায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন রাজ্যকে এই মামলায় পার্টি করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ মে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের গৃহবন্দি করার কথা বলা হয়। আপাতত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন তাঁরা। মামলায় সিবিআইয়ের তরফে সওয়াল করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

রাজ্যকে পার্টি করার অনুমতি:

সিবিআই-এর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘রাজ্যকে আলাদা করে পার্টি করতে হবে। অভিযুক্তরা নিজেদের কথা বলবেন। রাজ্যকে তার বক্তব্য রাখতে হবে।’ বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্যকে পার্টি করা হয়নি?’ তুষার মেহতা বলেন, মুখে বলেছিলাম কিন্তু আলাদা করে পার্টি করা হয়নি। এরপরই বিচারপতি জে বিন্দল রাজ্যকে পার্টি করার অনুমতি দেন।

প্রশাসনের ওপর চাপ?

‘যদি কোনও গ্যাংস্টার আটক হয়। তাহলে কী প্রশাসনের ওপর এ ভাবে চাপ বাড়ানো যায়? এই ধরনের উদাহরণের সঙ্গে মিল আছে এই ঘটনার। যদি কোনও জুডিয়াল অর্ডার দেওয়া হয়, তাহলে তা পাবলিক কনফিডেন্স সিস্টেমের কথা মাথায় রেখে।। সাধারণ মানুষের সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস এতে নষ্ট হতে পারে।’ এমনটাই বলেন সলিসিটর জেনারেল। যদিও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, ‘অনেক সময়ই সেলিব্রিটিরা গ্রেফতার হন। সেখানেও সাধারণ মানুষের উৎসাহ থাকে। কিন্তু আইন আইনের পথেই চলবে।

বিচারপতি প্রভাবিত হয়েছেন?

জামিনের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারপতির ওপর চাপ তৈরি হয় বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, ‘আমি বলিনি যে বিচারপতি পক্ষপাতিত্ব করছেন। তবে, সাধারণ মানুষ কী ভাববে সেটাই প্রশ্ন। এতে সাধারণ মানুষের সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস হারাতে পারে। বিচারপতি অরিজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশ জুড়ে অগণিত হাই প্রোফাইল মামলা হয়। যদি দেখাতে না পারেন যে বিচারপতি প্রভাবিত হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে না।’