Kajal Sheikh: কাজল শেখকে সাড়ে সাতশো গ্রামের রুপোর মুকুট পরিয়ে বরণ, কী করলেন তিনি?
Kajal Sheikh: প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার আগেই এই মিলনমেলায় প্রধান অতিথির রূপে উপস্থিত হতেন। তখন এই মেলার দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম খান। সেই সময়েও অনুব্রত মণ্ডলকে কখনও রুপোর তলোয়ার, কখনও রুপোর গরু ও পাচন, আবার কখনও রুপোর ঢাক উপহার তুলে দেওয়া হত।
বীরভূম: কাজল শেখকে সাড়ে সাতশো গ্রামের রুপোর মুকুট পরিয়ে বরণ করলেন নানুরের থুপসড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। প্রত্যেক বছর নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১ জানুয়ারি মিলন মেলার আয়োজন করা হয় থুপসরা অঞ্চল তৃনমূলের কংগ্রেসের উদ্যোগে। এই মেলায় প্রত্যেক বছর আলাদা চমক থাকে। প্রধান অতিথিদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। সেই মতো তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে ৭৫০ গ্রামের রুপোর মুকুট পরিয়ে সম্বোধন করা হয়।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার আগেই এই মিলনমেলায় প্রধান অতিথির রূপে উপস্থিত হতেন। তখন এই মেলার দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম খান। সেই সময়েও অনুব্রত মণ্ডলকে কখনও রুপোর তলোয়ার, কখনও রুপোর গরু ও পাচন, আবার কখনও রুপোর ঢাক উপহার তুলে দেওয়া হত।
বীরভূম, যে গড় মূলত একটা সময়ে অনুব্রতর ছিল, তা ধীরে ধীরে এখন অনুব্রত-কাজলের ‘যুগলবন্দি’ গড়ে পরিণত হয়েছে। কারণ অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূল অন্দরে কেষ্ট ‘প্রতিপক্ষ’ হিসাবে পরিচত কাজল শেখই নিজের জমি পোক্ত করেছে। নানুর থেকে বেরিয়ে গোটা বীরভূমেই নিজের প্রভাব বিস্তার করেছেন কাজল শেখ। তাই সমান্তরাল বিভাজন থাকলেও অনুব্রত-কাজলের গড়ই এখন বীরভূম! দু’জনেরই সমান্তরাল সাংগঠনিক দক্ষতা। এদিনের ঘটনা যেন তারই সাক্ষ্য় বহন করছে। কাজল বলেন, “এই এলাকার আমি জনপ্রতিনিধি। এখান থেকেই আমি জেলা পরিষদের মেম্বার হয়েছি। জেলা সভাধিপতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের কাছে গর্বের বিষয়। আবেগের বিষয়। সেই হিসাবেই উপহার দিয়েছে। ”