কলকাতা : ‘রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব, চিকিৎসক পড়ুয়ারা (Medical Students) সেই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।’ আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলন নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের তরফে হলফনামা পেশ করা হয়েছে হাইকোর্টে। এবার রাজ্যকে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হলফনামা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলনের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। এ দিন হলফনামা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও তাঁদের এই হলফনামা সম্পূর্ণ ‘অসত্য’ বলে পাল্টা অভিযোগ করে রাজ্য সরকার এবং মামলাকারীর আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ‘হলফনামায় মিথ্যে বলার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার কি হতে পারে সেটা সকলেরই জানা আছে।’ এই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশ, আন্দোলনকারীদের জন্য ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়া বা হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার যে দাবি করা হচ্ছে, তার তথ্য-প্রমাণ সহ রাজ্য ও মামলাকরীকে আগামী ২৯ নভেম্বর আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে।
গতকালই ওই মামলায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান, কোনওভাবে পরিষেধবা বিঘ্নিত হলে তার দায় নিতে হবে আন্দোলনকারীদের। আগেই আন্দোলন নিয়ে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। বিচারপতি জানান, নির্দেশ না মানা হলে ফল সিরিয়াস হতে পারে।
আদালতে রাজ্যের তরফে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে খোলাখুলি অভিযোগ জানানো হয়েছে আগেই। গতকাল আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, এটি একটি টার্সিয়ারি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আর সেখানে আন্দোলন চলাকালীন ভবিষ্যতের চিকিৎসকরা মাঝে মাঝেই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন। এতে বাংলার সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সাইলেন্স জোনেও মাইক বাজছে বলে উল্লেখ করেন এজি। প্রিন্সিপালকে সরানোর দাবিতে যেভাবে আন্দোলন চলছে তা মানা যায়না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: ‘কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে GTA-তে, অমিত মিত্র জবাব দিন’
এক মাসের বেশি সময় ধরে আরজি করে চলছে আন্দোলন। অনশনের কারণে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দলাল তিওয়ারি নামে জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এই মামলা দায়ের করেন নন্দলাল। সেই মামলায় আগেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। কোনও রকম মাইকিং করা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনকারীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনাদের সমস্যা কাকে জানাতে চান?’। জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলতে চান তাঁরা। মেন্টর গ্রুপে যাঁরা আছেন, তাঁদের ওপর ভরসা নেই।
আরও পড়ুন: School Reopening: ফিরল চক-ব্ল্যাকবোর্ডের চেনা গন্ধ! স্কুল খুলতেই হাজির ৭২ শতাংশ পড়ুয়া