School Reopening: ফিরল চক-ব্ল্যাকবোর্ডের চেনা গন্ধ! স্কুল খুলতেই হাজির ৭২ শতাংশ পড়ুয়া

School Reopening: প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। এত দিন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছিল। এ বার সশরীরে ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। অতিমারির প্রকোপ কিছুটা কমতেই ফের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেশ কিছু নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।

School Reopening: ফিরল চক-ব্ল্যাকবোর্ডের চেনা গন্ধ! স্কুল খুলতেই হাজির ৭২ শতাংশ পড়ুয়া
স্কুলে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি নয় উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিল আপে (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 7:58 PM

কলকাতা : অনলাইনে পড়াশোনা আদৌ কতটা সফল হয়েছে, সে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে শৈশব হোক বা কৈশোর, ছাত্রজীবনের স্বাদটাই বাদ পড়ে যাচ্ছিল পড়ুয়াদের। স্কুল কিংবা কলেজ মানে তো নিছক পড়োশোনা নয়! বড় হয়ে ওঠার একটা অধ্যায়। তাই স্কুল খোলার (School Reopening) সিদ্ধান্ত নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, প্রথম দিনেই পড়ুয়ারা প্রমাণ করে দিল অফলাইনেই (Offline) খুশি তারা। স্কুল খোলার প্রথম দিনে রাজ্যের সব স্কুল মিলিয়ে মোট উপস্থিতির (Attendance) হার ৭২ শতাংশ। শুধু স্কুল নয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ধরা পড়ল একই ছবি। কলেজগুলিতে উপস্থিতির হার ৭৮ শতাংশ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপস্থিতির হার ৮৫ শতাংশ।

অর্থাৎ হিসেব বলছে, বেশির ভাগ পড়ুয়াই বেছে নিল অফলাইন ক্লাস। স্কুলের পড়ুয়ারা বলছেন, এত দিন পর দেখা হবে, আবার খেলা হবে, তাই স্কুলে আসা। করোনা আবহে অভিভাবকরা আদৌ সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কিন্তু আজ প্রথম দিনের উপস্থিতি বেশ ইতিবাচক বলেই মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

অনেকের স্কুলের ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গিয়েছে। প্রায় দেড় বছর স্কুলে যাওয়া হয়নি, তাই কারও জামা গায়ে ঢুকছে না, কারও আবার ফুল প্যান্ট হয়ে গিয়েছে থ্রি কোয়ার্টার। কেউ কেউ বলছেন, স্কুল থেকে যদি আবার ইউনিফর্ম দেওয়া হয়, তাহলে ভালো হয়।

এ দিকে আজ থেকে স্কুলের দরজা খুলেছে শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু সে সব না জেনেই বাসন্তীতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জাকির হোসেন পৌঁছে গিয়েছিল স্কুলে। স্কুলে গিয়ে ক্লাস হবে না জেনে চোখে জল এসে যায় তার। এমনকি তাকে দেখে চোখের জল বাধ মানে না শিক্ষকেরও। অনেক স্কুলে আবার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ না হওয়ায় শুরু করা যায়নি ক্লাস।

তবে স্কুল খুললেও কোভিড বিধি ভুললে চলবে না, তাই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিসও জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখার কথা বলা রয়েছে, আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।

পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে স্কুল রিওপেন বুকলেটে। যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তা সামাল দিতে পারেন স্কুলে স্যার, দিদিমণিরা। আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে এই গাইডলাইন বুকে। বার বার শিক্ষাবিদ বা চিকিৎসকরা বলছিলেন, সম্ভব হলে দুই শিফটে ক্লাস হোক। গাইডলাইনেও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামোর দিকে নজর রেখে প্রয়োজনে স্কুল দুই শিফট অর্থাৎ মর্নিং ও ডে’তে ক্লাস করাতে পারে।

করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে।

আরও পড়ুন : G D Birla School Agitation: দেড় বছর পর খুলল, প্রথম দিনই জি ডি বিড়লা স্কুলে ব্যাপক বিক্ষোভ