হনুমান জয়ন্তীতে শতাধিক মিছিলের আবেদন, আধা সামরিক বাহিনী নামানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
High Court on Hanuman Jayanti: স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাওয়ার কথা বলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
কলকাতা: হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার প্রায় ১৬০ টি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই মিছিলে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার রাজ্য়ের তরফে হনুমান জয়ন্তীতে মিছিলের আবেদনের কথা জানানো হয় আদালতে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভটাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বুধবার থেকেই যাতে পুলিশ রুট মার্চ করে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কী নির্দেশ হাইকোর্টের?
আদালতের নির্দেশ, স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সিসিটিভি থাকবে। ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগের ঘটনার নিরিখে বলা যায়, আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিৎ রাজ্যের।’ ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তা রাজ্য চাইতে পারে কেন্দ্রের কাছে।
একই সঙ্গে জেলা আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা হয়, তাঁদের কাজ করতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, সেটাও রাজ্যকে দেখতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
‘দুর্গাপুজোতেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না পুলিশ’
সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে এজিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এই ঘটনা যে আর ঘটবে না, এই আশ্বাস কীভাবে দেবেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময়ও দেখেছি পুলিশের পক্ষের বিপুল সংখ্যক দর্শণার্থী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।’
মিছিলের গাইডলাইন তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ
এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন আদালতে জানান, কলকাতা পুলিশ ২৭ টি শর্তের একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে মিছিলের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, যাঁরা আয়োজক, কিছু ঘটলে তাঁদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। কোন রুটে যাবে মিছিল, কতজন থাকবে, সেটা পুলিশ ঠিক করবে। শুরু এবং শেষ হওয়ার সময়ও বলে দেওয়া হবে। এজি আরও উল্লেখ করেন, রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী কলকাতায় খুব জনপ্রিয় নয়। শেষ পাঁচ বছরে এগুলো দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এজি।
এদিন শুনানির শেষে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘ছাদ থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের গোয়েন্দারা কী করছিল? এটা তাদের ব্যর্থতা।’ এদিন সকালেই রিষড়ার অশান্তি সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’।