Marichjhapi: মরিচঝাঁপি গণহত্যায় প্রাণ হারানো পরিবারের সদস্যকে লোকসভায় প্রার্থী করবে হিন্দু মহাসভা

Marichjhapi: মরিচঝাঁপির হত্যালীলা চলে ১৯৭৯ সালে। সেই ঘটনাকে যাঁরা সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তাঁরা অনেকেই দাবি করেছিলেন, পুলিশকর্মীরা এবং স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা দেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। তবে সেই ঘটনার তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। সিপিএম গুলি চালানোর কথাও অস্বীকার করেছিল।

Marichjhapi: মরিচঝাঁপি গণহত্যায় প্রাণ হারানো পরিবারের সদস্যকে লোকসভায় প্রার্থী করবে হিন্দু মহাসভা
মরিচঝাঁপি (ফাইল ছবি)Image Credit source: Youtube
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2024 | 9:42 AM

কলকাতা: সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপ, যার নাম আজও অস্বস্তিতে ফেলে বামেদের। আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে এক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল এই দ্বীপ। ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, সেই তথ্য আজও অস্পষ্ট। এবার সেই মরিচঝাঁপির স্মৃতি উস্কে দিতে আসরে হিন্দু মহাসভা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চলেছে মরিচঝাঁপি। হিন্দু মহাসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সে কথা। সূত্রের খবর, মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারানো পরিবারের সদস্যদের এবার নির্বাচনে প্রার্থী করতে চলেছে হিন্দু মহাসভা।

দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা চায় সে দিনের সেই গণহত্যার কথা জানুক সবাই। হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, মরিচঝাঁপিতে যে ভাবে দরিদ্র, দলিত, দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সেই ইতিহাস এবার দেশের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় তারা। সেই উদ্দেশেই গণহত্যায় প্রাণ হারানো পরিবার গুলির কয়েকজন সদস্যকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চলেছে ওই সংগঠন।

হিন্দু মহাসভার বক্তব্য হল, সিপিএম মেহনতি মানুষের কথা বললেও আদতে মৌলবাদকে আড়াল করার ওই গণহত্যা চালিয়েছিল। অসহায় মানুষদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। মরিচঝাঁপি নিয়ে রাজনীতি হলেও, বিজেপি কখনও এই বিষয়ে রাজনীতি করেনি। মরিচঝাঁপি গণহত্যা স্মৃতিরক্ষা কমিটির আহ্বানে বারাসাতের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউশন হলে গণসম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকেই এ রাজ্যে টক্কর দিতে চলেছে অখিলভারত হিন্দু মহাসভা।

মরিচঝাঁপির হত্যালীলা চলে ১৯৭৯ সালে। সেই ঘটনাকে যাঁরা সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তাঁরা অনেকেই দাবি করেছিলেন, পুলিশকর্মীরা এবং স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা দেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তাতে প্রায় ৩০০ টি পরিবার রাতারাতি ঘরছাড়া হয়েছিল বলেও শোনা যায়।