AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: কীভাবে ফিল-আপ করবেন SIR-এর Enumeration Form? জেনে নিন এখনই

Election Commission News: একই ভাবে দিতে হবে মায়ের নাম। সঙ্গে এপিক নম্বর। কোনও ভোটারের যদি বাবা-মা আর জীবিত না থাকেন। বিশেষ করে মহিলাদের সুবিধার্থে স্বামীর নাম দেওয়ার জায়গা রেখেছে কমিশন। সঙ্গে তাঁর ভোটার কার্ড থাকলে দিতে হবে এপিক নম্বর।

SIR in Bengal: কীভাবে ফিল-আপ করবেন SIR-এর Enumeration Form? জেনে নিন এখনই
প্রতীকী ছবিImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Nov 03, 2025 | 10:35 PM
Share

কলকাতা: হাতে আর ২৪ ঘণ্টাও নেই। দিন পেরলেই একেবারে ময়দানে নেমে কাজ শুরু করে দেবেন বিএলও-রা। যাবেন বাড়ি বাড়ি। তুলে দেবেন SIR-র কাজে ব্যবহৃত Enumeration Form। অর্থাৎ দিন পেরলেই আপনার হাতে চলে আসবে সেই ফর্মটি। কিন্তু সেটি পূরণ করবেন কীভাবে? কিংবা ওই ফর্ম কেমন দেখতে হবে? কেমন দেখতে হবে Form?

যদি ফর্মটিকে ভাল করে লক্ষ্য করা হয়, তা হলে দেখা যাবে, এতে তিনটে ধাপ রয়েছে। ফর্মের একদম শুরুতে থাকছে ভোটারের নাম ও ঠিকানা দেওয়ার জায়গা। যদিও এই জায়গাটি বিএলও-দের জন্য। এর পাশেই রয়েছে সিরিয়াল নম্বর, পার্ট নম্বর। তার পাশে QR Code। যেটিও বিএলও-দের সুবিধার্থে। প্রতি ভোটারের জন্য আলাদা QR Code তৈরি করা হয়েছে কমিশনের তরফে। তারপর থাকবে ভোটারের একটি পুরনো ছবি, যা সচিত্র ভোটার কার্ডেও রয়েছে। তার পাশে থাকবে বর্তমান ছবি দেওয়ার জায়গা।

এরপর দ্বিতীয় ধাপ। সেখানে থাকছে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ। প্রথমেই ভোটার দিতে তাঁর জন্ম তারিখ। এরপর দিতে হবে আধার নম্বর। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। দিতে মোবাইল নম্বর। অবশেষে ভোটারের বাবার নাম। সঙ্গে ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর। একই ভাবে দিতে হবে মায়ের নাম। সঙ্গে এপিক নম্বর। কোনও ভোটারের যদি বাবা-মা আর জীবিত না থাকেন। বিশেষ করে মহিলাদের সুবিধার্থে স্বামীর নাম দেওয়ার জায়গা রেখেছে কমিশন। সঙ্গে তাঁর ভোটার কার্ড থাকলে দিতে হবে এপিক নম্বর।

এবার আসা যাক তৃতীয় ধাপে। এটি এই ফর্মের শেষ পর্যায় বলা যেতে পারে। যেখানে থাকছে দু’টি জায়গা। প্রথমটিতে দিতে হবে ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় থাকা নির্বাচকের নাম এবং তাঁর সঙ্গে ভোটারের সম্পর্ক। দ্বিতীয়টিতে দিতে হবে সেই আত্মীয়ের পরিচয়।

প্রথম বাক্সে অর্থাৎ ফর্মের বাঁদিকে প্রথমে দিতে হবে ভোটারের নাম। তারপর এপিক নম্বর। এরপর দিতে হবে আত্মীয়ের নাম, বলে রাখা প্রয়োজন, এই আত্মীয়ের কোনও সংজ্ঞা দেয়নি কমিশন। তবে সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট ভোটারের বাবা, মা কিংবা ঠাকুরদা দিকের কেউ, যাঁর ২০০২ সালের তালিকায় নাম রয়েছে, তাঁর নাম এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এরপর তাঁর সঙ্গে কি সম্পর্ক। সঙ্গে লিখতে হবে জেলা ও বিধানসভার নাম। দিতে হবে ওই কেন্দ্র ও পার্টের নম্বর। এবার এই ফর্মের ডানদিকে আসা যাক। অর্থাৎ দ্বিতীয় বাক্স। ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় ভোটারের নাম না থাকায়, তৃতীয় ধাপের প্রথম অংশে তিনি যদি নিজের আত্মীয় বা বাবা-মায়ের নাম দিয়ে থাকেন। তা হলে দ্বিতীয় অংশে তাঁকে প্রদান করতে হবে সেই আত্মীয় বা তাঁর বাবা-মায়ের সমস্ত তথ্য। দিতে হবে নাম, এপিক নং, সম্পর্ক ইত্যাদি। অনেক ফর্ম ফিল-আপের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। চেষ্টা করবেন এক্ষেত্রে তাতে না ঘটে। কমিশনও সেটাই বলছে। মনে সংশয় তৈরি হলে, যোগাযোগ করবেন বিএলও-র সঙ্গে।

কখন বাতিল হবে আপনার ফর্ম?

  • এই বাতিলের ব্যাপারটাও ফর্মেই উল্লেখ করে দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে –
    যদি আপনি দেশের নাগরিক না হন।
  • যদি আপনার দেওয়া তথ্য ভুয়ো বা মিথ্য়া হয়। তখনই বাতিল হবে ফর্ম। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন।