AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parliament: জনতা ‘এপ্রিল ফুল’, সাংসদরা ‘ডুমুরের ফুল’? দেব থেকে রচনা, কে কদ্দিন সংসদে গেলেন একবার দেখুন

Parliament: তবে সায়নী ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, অসিত মাল, কীর্তি আজাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। ৯০ শতাংশের বেশি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা ৮৯ শতাংশ। বিজেপি সাংসদদের রেকর্ড ঠিক এমনই। সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

Parliament: জনতা ‘এপ্রিল ফুল’, সাংসদরা ‘ডুমুরের ফুল’? দেব থেকে রচনা, কে কদ্দিন সংসদে গেলেন একবার দেখুন
কী বলছে তথ্য়? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2025 | 9:35 PM
Share

কলকাতা: মারাত্মক অভিযোগ। যে ভাষায় বিজেপি অভিযোগ করে, সেই সুর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। একেবারে সাংসদদের নাম করে অভিযোগ। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২৯ লোকসভা সাংসদ তৃণমূলের। কল্যাণ বলছেন, ১০-১১ জন নিয়মিত। বাকিরা? সংসদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতেই উঠে এল বিশদ তথ্য। তাতেই দেখা যাচ্ছে ঘাটলের সাংসদ দেবের হাজিরা সবথেকে কম। মাত্র ৯ শতাংশ। কম হাজিরার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তাঁর হাজিরা মাত্র ১৫ শতাংশ। 

তথ্য বলছে, কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের হাজিরা ২৩ শতাংশ। সেখানে হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা ৩৬ শতাংশ। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার হাজিরা ৪৭ শতাংশ। বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর হাজিরা ৪৯ শতাংশ। বহরমপুরের সাংসদ  ইউসুফ পাঠানের হাজিরা ৪৯ শতাংশ। কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা ৫৯ শতাংশ। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের হাজিরা ৬০ শতাংশ। 

তবে সায়নী ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, অসিত মাল, কীর্তি আজাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। ৯০ শতাংশের বেশি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা ৮৯ শতাংশ। বিজেপি সাংসদদের রেকর্ড ঠিক এমনই। সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তাদের হাজির থাকতেই হয়। এর বাইরে বিজেপির ১০ সাংসদ। এই ১০-এর মধ্যে ৮ জনের হাজিরা ৯০%-এর বেশি। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৭৯ শতাংশ, সৌমিত্র খাঁ সেখানে ৮৪ শতাংশ। সেটাও রাজ্যের গড়ের চেয়ে বেশি। তথ্যই বলছে খাতায় কলমে রাজ্যের গড় ৭১ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের ইশা খানের হাজিরাও ৮৯%।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলছেন, “মানুষ আপনাদের বিশ্বাস-ভরসা করে পাঠিয়েছে আপনাদের সংসদীয় ক্ষেত্রের কথা বলার জন্য আর আপনারা বাড়িতে বসে রিল্যাক্স করবেন! এর জবাব মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে দিতেই হবে। আপনি কাদের পাঠিয়েছেন পার্লামেন্টে?”  

শুধু বেতন মাসে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। সংসদ ভাতা ৭০ হাজার টাকা। অফিস ভাতা ৬০ হাজার টাকা। অধিবেশনে দৈনিক ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকা। দিল্লিতে ফ্রিতে থাকার জায়গা। সিনিয়র এমপি হলে বরাদ্দ বাংলো। নিজে ব্যবস্থা করলে হাউজিং ভাতা। বছরে ৩৪ বার সপরিবার বিমানযাত্রা। ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাসে যাতায়াত। বছরে ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত্‍ ফ্রি। বছরে ৪ হাজার কিলোলিটার জল ফ্রি। মাসিক পেনশন ৩১ হাজার টাকা। মাসিক অতিরিক্ত পেনশন ২ হাজার ৫০০ টাকা। গত বছরই এই বেতন-ভাতা বেড়েছে। অর্থাৎ বেতন-ভাতা-সহ হাজারো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সাংসদদের। কিন্তু তারপরেও সংসদে কেন যাচ্ছেন না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা? আক্ষেপ করছেন ভোটাররা।