
৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়ে গেলেও ১ জানুয়ারি থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দরজা। যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যই এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের শেষ কথা। মোটামুটি সাড়ে সাত ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন এই ট্রেনে। বুধবার বাদে সপ্তাহের ছ'দিনই চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে। পরের স্টপেজ বোলপুর। পৌঁছতে সময় লাগবে ২ ঘণ্টারও কম। ৭টা ৪৩ মিনিটে ট্রেন পৌঁছবে বোলপুর স্টেশনে। ২ মিনিট দাঁড়িয়ে ৭টা ৪৫ মিনিটে ফের ছাড়বে ট্রেন। পরের স্টপেজ মালদহ টাউন। ১০টা ৩২-এ ট্রেন পৌঁছবে মালদহ টাউনে।

বোলপুর থেকে মালদহ পৌঁছতে তিন ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। হাওড়া থেকে সময় লাগবে চার ঘণ্টার কম। মালদহের পর ট্রেন থামবে বারসোই স্টেশনে। সময় ১১টা ৫০। নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেন পৌঁছবে ১টা ২৫-এ। ৮ ঘণ্টারও কম সময়। এই ট্রেনই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে যাবে বেলা বেলা ৩টে ৫-এ। হাওড়া পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫-এ।

যাত্রীদের জন্য দু'ধরনের কোচ থাকছে এই ট্রেনে। এসি চেয়ার কার (সিসি) ও এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার (ইসি)। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে থাকছে ৬৯ আসনের ব্যবস্থা, এসি চেয়ার কারে থাকছে ৯০৭ আসন। প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম বা পিআরএসের পাশাপাশি ইন্টারনেটেও বন্দে ভারতের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। রয়েছে তৎকালে টিকিট কাটার ব্যবস্থাও।

কোচের ভিতরে সিটের উপরে রিডিং লাইটসহ টাচ কন্ট্রোল দেওয়া আছে। ভিতরে আছে উন্নত LED আলো। সম্পূর্ণরূপে ভারতে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি চেন্নাইতে তৈরি হওয়া এই ট্রেন ১৬০ কিমি গতিতে ছুটতে সক্ষম। যদিও রেলের অপারেশনাল বিভাগ সূত্রে খবর, হাওড়া-এনজেপি রুটে আপাতত ১৩০ কিমি বেগে চালানো সম্ভব বন্দে ভারত। তবে পুরো সেকশনে একই গতি ধরে রাখা এখনই সম্ভব নয়। সিগন্যাল ও লাইনের পরিকাঠামো বদল হচ্ছে, কাজ চলছে বলেই রেল সূত্রের খবর।

লাগেজ রাখার জন্য প্রতিটি কোচে মডুলার র্যাক রয়েছে। প্রতিটি সিটের নীচে মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। বাইরের শব্দ কমাতে দুই কোচের মধ্যে মাঝখানের ফাঁকা অংশ বিশেষভাবে সিল করা হয়েছে।