কলকাতা: শহরে ফের বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার ইডির। কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে এই টাকার পাহাড় তৈরি করেছিল ওই ব্যবসায়ী। অনলাইনে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করত এই ব্যক্তি। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তারপরই ইডির অভিযানে এই বড়সড় সাফল্য।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব, আরবিআই-এর প্রতিনিধি এবং অন্যান্যরা। ওই বৈঠকে একটি ত্রিস্তরীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, ইডি অভিযান চালাবে। দ্বিতীয়ত, যাদের জড়িত পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, এগুলি কীভাবে বন্ধ করা যায়। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের থেকে টাকা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে অনলাইনে অনেক মাধ্যম রয়েছে, যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে সহজেই লোন দেওয়া হয়। কিন্তু তুলনায় সুদের হার অনেকটা চড়া।
এক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পারমিশন ‘অ্যালাও’ করতে হয়। এমন ক্ষেত্রে অনেক সময়েই মোবাইলের অনেক কিছুর কন্ট্রোল চলে যায় প্রতারকের কাছে। পরে দাবি মতো টাকা দিতে না পারলে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এইভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নির্দেশের পরই আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বেশিরভাগ ডিজিটাল ঋণদানকারী অ্যাপগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনে রেজিস্টার্ড নয় এবং এগুলি সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলি নিজেরাই পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনের এই অ্যাপগুলির কিছু অপারেটরদের দ্বারা ঋণগ্রহীতাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু আত্মহত্যার ঘটনাও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে স্থির হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই সব আইনত বৈধ অ্যাপগুলির সাদা তালিকা তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, এরপর ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক নিশ্চিত করবে যাতে, শুধুমাত্র এই বৈধ অ্যাপগুলিই বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরগুলিতে হোস্ট করা হয়।