ICMR Guideline: কোন কোন ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই? নির্দেশিকা দিয়ে জানাল ICMR
ICMR New Guideline: কোভিড টেস্টের ক্ষেত্রেও নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
কলকাতা: পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। জেট গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের থেকে কম হলেও, হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে আক্রান্তদের একাংশকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক থাকতেই হবে। এরই মধ্যে আরও একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর। কোভিড টেস্টের ক্ষেত্রেও নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
গাইডলাইনে যা বলা হয়েছে, তা এক নজরে
♦ কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেও হাই রিস্ক ছাড়া পরীক্ষা নয়
♦ হোম আইসোলেশনের পরেও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই
♦ অন্য রাজ্য থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই
♦ উপসর্গহীনদের কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই
অর্থাৎ যখন গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে উপসর্গহীনদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। ডোমেস্টিক ট্রাভেলের ক্ষেত্রেও নতুন করে পরীক্ষা করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে উপসর্গহীন রোগীদেরও পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। যিনি নিশ্চিতভাবে পজিটিভ, তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিরও যদি উপসর্গ না থাকে, তাহলে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। হোম আইসোলেশনের ডিসচার্জেরও প্রয়োজন নেই।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? জানা যাচ্ছে, ল্যাবগুলির অনেক টেকনিশিয়ান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মাইক্রো বায়োলজিস্ট, চিকিৎসক, প্যাথোলজিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও অধিকাংশ সংক্রমিত। এই মুহূর্তে টেস্টিংয়ের পরিকাঠামোর ওপর যতটা সম্ভব চাপ কমানো যায়, সেটা অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে ওতটা পরিমাণ পরীক্ষা করানোর মতো পরিকাঠামো বর্তমানে নেই। তবে যে নির্দেশিকা বের হচ্ছে, তা সম্পর্কে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ভোগান্তি হবে। এমনটাই মনে করছেন সচেতকরা।
কারণ দেখা যাচ্ছে, কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে দিচ্ছে প্রশাসন। তারপর আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির ৭ দিনের সময়সীমাও শেষ হয়েছে, তিনি নেগেটিভও হয়েছেন। কিন্তু যতক্ষণে আগের তালিকা স্থানীয় থানায় পৌঁছছে, পুলিশ গিয়ে আবার ওই জায়গাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে দিচ্ছে। পুলিশের কাছে কিন্তু এটা বিচার্য হচ্ছে না, ওই ব্যক্তির ‘আইসোলেশন পিরিয়ড’ যে শেষ হচ্ছে। তাতে কিন্তু তাঁকে ঘরবন্দি করে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। সেটাই সমস্যা হচ্ছে।
চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই বলেন, “গাইডলাইনের প্রত্যেকটা কথা আমাদের একটু ভালো করে ফলো করতে হবে। প্রত্যেকটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়েই করা হয়েছে। কমবেশি কোথাও না কোথাও বিতর্ক থাকবে। বিজ্ঞান বজায় রেখে গাইডলাইন মানা উচিত। চার পাঁচটা কথা মাথায় রাখতে হবে। রিপিড টেস্টিংয়ের কোনও প্রয়োজন নেই।যাঁরা রিপিড টেস্টিংয়ের কথা বলছেন, তাঁরা অন্যায় করছেন। ” চিকিৎসক স্পষ্ট করে বলে দেন, “যাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, ৭ দিন পর তাঁদের আইসোলেশন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। আরেকটা কথা বলল, যেটা গাইডলাইনে নেই। আরটিপিসিআর রিপোর্টে যে সিটি ভ্যালু লেখা থাকে, সেটার অর্থ হল কতটা সাইকেল পরে আমরা ওই ভাইরাসটাকে ডিটেক করতে পারছি। সেটা এখন ৩০-এর ওপর হলে খুবই লো ভাইরাল লোড ধরা হচ্ছে। আগে ছিল ৩৫। কিন্তু সেটা স্যাম্পেলের ভাইরাল লোড। আপনার শরীরের ভাইরাল লোড সেটা নাও হতে পারে। সুতরাং এটাকে ভয় পাবেন না। এখন র্যাপিড অ্যান্ডিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা করাবেন।”