RG Kar Case: ‘পর্দার আড়ালে কেউ থেকে থাকলে সে নির্ভয়ে থাকতে পারবে না’, আরজি কর রায় শুনে বললেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jan 21, 2025 | 8:44 AM

RG Kar Case: তিলোত্তমার মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। সেই কাজ একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদেরও অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন।

RG Kar Case: পর্দার আড়ালে কেউ থেকে থাকলে সে নির্ভয়ে থাকতে পারবে না, আরজি কর রায় শুনে বললেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত

Follow Us

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। তিলোত্তমাকে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন একজন। তিলোত্তমার পরিবার ও জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনায় শুধু দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাই একা জড়িত নন। আরও অনেকে আছেন। প্রশ্ন উঠছে, যদি আরও কেউ এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকেন, এই সাজা ঘোষণার পর তাঁরা কি আর বিচারের আওতায় আসবেন না? কী বলছে আইন? ব্যাখ্যা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত।

গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে জুনিয় ডাক্তার ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার পায় সিবিআই। এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তিলোত্তমাকাণ্ডে তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে তারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে না পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে যান।

তিলোত্তমার মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। সেই কাজ একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদেরও অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন।

এই খবরটিও পড়ুন

ইতিমধ্যে এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সুপ্রিম কোর্টেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে আরও কেউ যদি তিলোত্তমাকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে? শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলছেন, যতদিন মামলা চলবে, ততদিন সেই সুযোগ থাকছে। টিভি৯ বাংলাকে তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত অনুসন্ধান চলছে, একটা রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হতে চলেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যদি কেউ পর্দার আড়াতে থেকে থাকেন, তাঁর নির্ভয়ে চলা কিংবা সব শেষ হয়ে গেল, এমন ভাবার কারণ নেই।” তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, সঞ্জয় রাইকে একা দোষী সাব্যস্ত করা হলেও অন্য কেউ জড়িত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

 

Next Article