কলকাতা: কেউ কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কেউ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি দখলের কথা বলছেন। বাংলাদেশের একাধিক নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের এমন হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছে ভারত। এবার কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে এসে বাংলাদেশের এমন হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। পাকিস্তানের নিপীড়ন থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধারে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। একইসঙ্গে বালাকোটে ঢুকে পাকিস্তানকে কীভাবে ভারতীয় সেনা ‘শিক্ষা’ দিয়েছিল, সেকথাও উল্লেখ করলেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন মাস চারেক আগে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমানে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। ইউনূস প্রশাসনের চার মাস কাটতে না কাটতেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত বার্তা দিলেও হেলদোল নেই ইউনূস সরকারের। এদিকে, বাংলাদেশের একাধিক নেতা ও প্রাক্তন সেনা অফিসার বাংলা, বিহার দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
এদিন কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে এসে বাংলাদেশের এই হুঁশিয়ারিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন আধিকারিকরা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত উইং কম্যান্ডার ডিজে ক্লেয়ার বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রথমে যা ছিল, এখন তা হয়ে গিয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে। খুব দুঃখ হয়। বাংলাদেশের জন্য লড়াইয়ে আমার বাবার বুকে গুলি লেগেছিল।” এরপরই তিনি বলেন, “বড় বড় কথা বলছে বাংলাদেশের অনেকে। বলছে, বিহার, বাংলা দখল করবে। এটা কি মজার বিষয়? এটা হিন্দুস্তান। বালাকোটে গিয়ে মেরেছি। সুযোগ পেলে এখানে ভিতরে ঢুকে শেষ করে দেব।”
বাংলাদেশের নেতাদের হুঁশিয়ারি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “ভারত তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করেছে। এখনও করছে। একজন সেনা অফিসার হিসেবে দুঃখ লাগে।”
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট সুবীর গিরি বলেন, “এখানে তৃতীয় শক্তি ঢুকেছে। রাজনীতির জন্য করছে। এগুলো সাময়িক ব্যাপার।” কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি নিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো বাজে কথা। এগুলো পাড়ার নেতাদের মন্তব্য। যাঁরা উপরে রয়েছেন তাঁরা এসব বলেন না।”