Education: আস্তে আস্তে অস্তাচলে এই ১০ ডিগ্রি? আগামীতে কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়লে লাভ বেশি?
Future of Education: গবেষকদের যুক্তি প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে। আর সঙ্গে সঙ্গে কাজের আঙ্গিকও বদলাচ্ছে। অনেক কোম্পানিই এখন ডিগ্রি নয়, কাজের দক্ষতাকেই বেশি মূল্য দিচ্ছে। আর সে কারণেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে পড়াশোনার আঙ্গিক।

ছুটছে পৃথিবী, প্রযুক্তির ক্ষমতায়নের হাত ধরে ছুটছে মানুষ। বদলাচ্ছে শিক্ষার পরিসরও। এরইমধ্যে হার্ভার্ডের নতুন গবেষণা ঘিরে গোটা বিশ্বে তোলপাড়। হার্ভার্ড বলছে নতুন বিশ্বের নতুন আঙ্গিকে এমন ১০টি ডিগ্রি রয়েছে যেগুলির মূল্য দিনে দিনে কমেই চলেছে। তাই এখন কোন বিষয় উচ্চশিক্ষা করা উচিত তা নিয়ে ভাবার সময় এসে গিয়েছে। বর্তমানে ভারত তো বটেই গোটা বিশ্বেই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও যে বড় পরিবর্তন শুরু হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হার্ভার্ডের অর্থনীতিবিদ ডেভিড জে. ডেমিং এবং কাদিম নোরের ২০২০ সালের একটি গবেষণা সামনে এসেছে। যা নিয়ে এত হইচই। তাতেই দেখা যাচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবসা-সংক্রান্ত কিছু প্রচলিত ডিগ্রির গুরুত্ব, এমনকি এগুলি নিয়ে পড়ে চাকরির সুযোগও ধীরে ধীরে অনেকটাই কমে যাচ্ছে। যা ছাপ পড়ছে এই সমস্ত ডিগ্রিধারীদের কর্মজীবনে। উল্টে গোটা সমাজে, শিক্ষায় প্রভাব বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার।
গুরুত্ব কমছে কোন কোন ডিগ্রির?
১. এমবিএ
২. কম্পিউটার সায়েন্স
৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৪. অ্য়াকাউন্টিং
৫. বায়োকেমিস্ট্রি
৬. মনোবিজ্ঞান (স্নাতক পর্যায়ে)
৭. ইংরাজি (সামগ্রিকভাবে কলা বিভাগের পড়াশোনা)
৮. সমাজবিজ্ঞান
৯. ইতিহাস
১০. দর্শন
গবেষণা বলছে, ভবিষ্যতে এইসব ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদে লাভ (উচ্চ বেতন, সুযোগ) ভালভাবে ধরে রাখা রীতিমতো কঠিন হতে পারে। যদি না কোনও ব্যক্তি এই ডিগ্রির সঙ্গে অতিরিক্ত দক্ষতা, আরও আধুনিক কোর্স বা আরও নতুন বিষয়ের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে না নেন, নিজেকে পারদর্শী করে না তোলেন তাহলে আরও চাপ বাড়তে পারে। গবেষকদের যুক্তি প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে। আর সঙ্গে সঙ্গে কাজের আঙ্গিকও বদলাচ্ছে। অনেক কোম্পানিই এখন ডিগ্রি নয়, কাজের দক্ষতাকেই বেশি মূল্য দিচ্ছে।
কী পড়া উচিত বলে মনে করছেন গবেষকরা?
ডিগ্রি বা বিষয়বস্তুকে একমুখী করতে না করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে যে কোনও একটা বিষয় নির্ধারণ করার বদলে হাইব্রিড মোডে পড়াশোনার দিকে ঝুঁকতে হবে বেশি মাত্রায়। যেখানে সৃজনশীলতার পাশাপাশি সামাজিক বুদ্ধিমত্তারও ছাপ থাকবে। ছাপ থাকবে প্রযুক্তিগত দক্ষতার। এই তিন বিষয়ে এক ছাতার তলায় আনে এমন ‘কোর্স’ বাছাই আগামীতে হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদাহরণও তাঁরা সামনে রাখছেন তাঁরা।
১. ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিক্স
২. স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য খাতের পেশা নির্ভর পড়াশোনা
৩. পরিবেশ বিজ্ঞান
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং ও মিডিয়া
৫. AI ও মেশিন লার্নিং
৬. উদ্যোক্তপতি (Entrepreneurship) হওয়া যায় এমন পড়াশোনা তবে তার সঙ্গে প্রযুক্তির মিশেল আবশ্যক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ক্ষেত্রগুলোর মূল বৈশিষ্ট্যই হল সময়ের সঙ্গে এর উপযোগীতা বজায় থাকে। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে সহজেই মানানসই হওয়া যায়। বাজারে চাহিদাও বেশি থাকে। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজের সুযোগও অনেক বেশি।
