কলকাতা: ভারতীয় সেনার হাত শক্ত করতে মাঠে নেমেছে আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি। তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। এদিনই জলে নামে অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন এই ফ্রিগেট। আর তাতেই স্নায়ুর চাপ অনেকটাই বাড়ল চিন-পাকিস্তানের (China-Pakistan)। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমারের মতে বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনী সবদিকে অন্যান্য দেশে নৌবাহিনী তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। মেরিন কমান্ডো, যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী, এছাড়া অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে নৌবাহিনীর হাতে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নৌহবাহিনীর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমার বলেন, “কমব্যাট প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে এই ধরনের জাহাজ নৌবাহিনীর হাতে আসায় মেরিটাইম সিকিউরিটি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। আমাদের জন্য আজ এটা খুব গর্বের দিন। এই ফ্রিগেট যে শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি তাই নয়, অস্ত্রও সজ্জিত রয়েছে অত্যন্ত আধুনিক মানের। আমাদের মেরিটাইম ক্যাপাবিলিটি পরিকল্পনা তৈরি করা রয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশের মেরিটাইম ক্যাপাবিলিটি অনেক বেশি আপগ্রেড হয়ে যাবে। আরো বেশি করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠবে। বর্তমানে এখন যে পরিমাণ যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করা হয়, আগামী দিন সেই সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। যুদ্ধ জাহাজের সংখ্যা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হিসাবে নৌবাহিনী সবার উপরে উঠে আসবে।”
তাঁর দাবি, এই ধরনের ফ্লিট সাপোর্ট জাহাজগুলির পরিষেবার ব্যাপ্তি অনেক বড়। এগুলি মূলত জ্বালানি সরবরাহ, খাদ্যপণ্য সরবরাহ, তথ্যপ্রযুক্তির ক্যাপাবিলিটি বৃদ্ধি করা সহ একাধিক কাজ করা হয়। এর ফলে নৌবাহিনীর লজিস্টিক এবং অন্যান্য পরিষেবা দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন গার্ডেনরিচের এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমারের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।