কলকাতা: শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা। দিকে দিকে উঠেছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি। লালবাজার পর্যন্ত গিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। তাঁর হাতেই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশন তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। বিনীতের পদত্যাগের দাবিতে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। এবার বড় পদক্ষেপ বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়-সহ জড়িত পুলিশ অফিসারদের গ্রেফতার এবং তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি পুরুলিয়ার বিজেপি সংসদের।
এই মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। একইসঙ্গে ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে চিঠিতে উল্লেখ বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের। জানা যাচ্ছে এমনটাই। ছাড় পাননি বিনীত গোয়েলও। উঠে এসেছে কামদুনি মামলার প্রসঙ্গ। কামদুনি তদন্তে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের আবহে শুরু থেকেই বারবারই সংবাদমাধ্যমের সামনে কলকাতা পুলিশের স্বচ্ছতার পক্ষে ব্যাট ধরেছিলেন বিনীত গোয়েল। স্পষ্ট বলেছিলেন, কলকাতা পুলিশ কিছুই লুকানোর চেষ্টা করছে না। করেনি। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। এর মধ্যে ঘটনার দিন অকুস্থলে বহু মানুষের ভিড় নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এরইমধ্যে আবার কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকাকালীন তদন্ত যে স্বচ্ছ পথে এগিয়েছে তা প্রমাণে মাঠে নামেন ডিসি সেন্ট্রাল। অভীক দে নামে এক ব্যক্তিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট হিসাবে দেখিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। অন্যদিকে ঘটনায় আবার শুরু থেকেই টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই টালা থানাতেই প্রথম দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। থানার ওসিকে ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এরইমধ্যে এবার জ্যোতির্ময়ের চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।