Behala Auto Route: এবার অটোর রুট ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বন্ধ বেহালার পর্ণশ্রী এক নম্বর রুটের অটো চলাচল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 11, 2022 | 4:16 PM

Behala news: অভিযোগ, ২ লাখ টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে অটো চালানোর 'পারমিট'। এটি অবশ্য লিখিত কোনও 'পারমিট' নয়, মৌখিক 'পারমিট'।

Behala Auto Route: এবার অটোর রুট ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বন্ধ বেহালার পর্ণশ্রী এক নম্বর রুটের অটো চলাচল
বেহালার পর্ণশ্রীতে অটো ঘিরে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব

Follow Us

কলকাতা : বেহালার পর্ণশ্রীতে অটোর রুট নিয়ে প্রকাশ্য়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর জেরে বেহালা পর্ণশ্রী এক নম্বর রুটের অটো চলাচল আপাতত বন্ধ। অটোচালকদের একাংশের অভিযোগ, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রের অনুগামীরা ২ লাখ টাকার বিনিময়ে বাইরে থেকে অন্য রুটের কিছু অটো এনে এখানে চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বুধবার সকালে সঞ্চিতা মিত্রের অনুগামীরা এসে এক নম্বর রুটের অটোচালকদের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে থানার সামনে অটোচালকরা বিক্ষোভও দেখান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নেতারা সব জেনেও কিছু ব্যবস্থা করছেন না।

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমরা একই ছাতার তলায় রয়েছি, তৃণমূলের ব্যানারে। নেতারাও তৃণমূলের নেতা। একই দলের মধ্যে থেকে কেন আমাদের এই ঝুট ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে? আমরা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যে যেতে চাই না। আমরা দিন আনি দিন খাই। সারাদিনে আমাদের ৭০০-৮০০ টাকার কাজ হয়। লকডাউনের পর থেকে অবস্থা খুব খারাপ। তার মধ্যে পাশ থেকে একটি রুটকে চালু করে দিল। নেতারা সব জানে। নেতারাই এগুলি করছেন। আমাদের ১৯৮৭ সাল থেকে রুট। প্রত্যেক নেতার কাছে যাওয়া হয়েছে। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া হয়েছে, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রের কাছে যাওয়া হয়েছে, বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া হয়েছে। সবাই সব জানেন, কিন্তু আবার কিছুই জানেন না।”

উল্লেখ্য, এই এলাকার উপর নির্ভর করে প্রায় ২৫০-৩০০ জন অটোচালক নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানে মূলত তিনটি রুট রয়েছে। একটি পর্ণশ্রী থেকে বেহালা থানা, দ্বিতীয়টি জিঞ্জিরা বাজার থেকে বেহালা থানা এবং তৃতীয়টি রয়েছে রবীন্দ্রনগর থেকে বেহালা থানা। অটো চালকদের একাংশের অভিযোগ, কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রর অনুগামী বলে পরিচিত কিছু ব্যক্তি অটোচালকদের এসে হুমকি দেয় এবং বলে বাইরের রুটের দুটি অটোকে সেখানে চালাতে দিতে হবে। এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ, ২ লাখ টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে অটো চালানোর ‘পারমিট’। এটি অবশ্য লিখিত কোনও ‘পারমিট’ নয়, মৌখিক ‘পারমিট’।

এই বিষয়ে কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টার উপরেই তাঁর নজর রয়েছে এবং তিনি চেষ্টা করছেন যাতে কোনও অশান্তি ছাড়াই এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

কিন্তু এই অটো রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে স্থানীয়রা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে বিক্ষোভকারী অটোচালকদের বক্তব্য, যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হবে তারা আর এই রুটে অটো চালাবেন না |

Next Article