AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Municipality: নিকাশি নিয়ে এবার কলকাতা পুরসভাকে খোঁচা সেচমন্ত্রীর, ‘জটিলতা’ মানলেন ফিরহাদ

Kolkata Municipality: সেচ দফতরের আধিকারিকদের কথায়, খালপাড় থেকে পাঁক বা নোংরা না তোলায় সেগুলি ফের খালের জলে এসে পড়ে। দিনের পর দিন সেগুলি পড়তে পড়তে খাল ভরাট হয়ে যায়। আবারও নতুন করে একই আবর্জনা বা পাঁক খাল থেকে তুলে খাল পাড়ে রাখা হয়।

Kolkata Municipality: নিকাশি নিয়ে এবার কলকাতা পুরসভাকে খোঁচা সেচমন্ত্রীর, ‘জটিলতা’ মানলেন ফিরহাদ
প্রতীকী ছবি Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2025 | 4:22 PM
Share

কলকাতা: শহরের লাইফলাইন খালগুলি থেকে তোলা পাঁক নিয়ে সেচমন্ত্রীর খোঁচা, হজম করে অভিযোগ মেনে নিলেন মেয়র। কিন্তু সমাধান কিভাবে? প্রশ্ন ঘুরলেও নিরুত্তর পুর প্রশাসন। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি চলছে শহর কলকাতাতেও। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে শহরের নিকাশের অন্যতম লাইফলাইন খালগুলিকে নিয়ে। বৃষ্টি দাপট বাড়াতেই প্রতিবারের মতো এবারও নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা এবং সেচ দফতর। খালগুলি সংস্কার নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিরক্তির সুর শোনা যায় কলকাতা পুরসভার কর্তাদের গলায়। কিন্তু, এবার পাল্টা খোদ সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া খোঁচা দিতে ছাড়লেন না কলকাতা পুরসভাকে। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। 

খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সেচমন্ত্রী 

শহরের নিকাশি নালার জল প্রায় ৯৬৭ কিলোমিটার খাল বা চ্যানেল দিয়ে গঙ্গা অথবা বিদ্যাধরী খালে গিয়ে পড়ে। সেচমন্ত্রী বলছেন, শহরের খালগুলি সময় মাফিক পরিষ্কার হয়। পাঁক তোলা বা পলি উত্তোলনের কাজ নির্দিষ্ট সময় অন্তর হয়ে থাকে। কিন্তু সেই নোংরা পাঁক বা পলি জল থেকে তুলে খালের দুই ধারে রাখা হয়। প্রতিবছর কোটি টাকারও বেশি খরচ করে এই পাঁক তোলার কাজ হয়। মন্ত্রীর কথায়, সেই পাঁক বা নোংরা খালপাড় থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার। কিন্তু সেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয় না। তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই চলছে চাপানউতোর।  

সেচ দফতরের আধিকারিকদের কথায়, খালপাড় থেকে পাঁক বা নোংরা না তোলায় সেগুলি ফের খালের জলে এসে পড়ে। দিনের পর দিন সেগুলি পড়তে পড়তে খাল ভরাট হয়ে যায়। আবারও নতুন করে একই আবর্জনা বা পাঁক খাল থেকে তুলে খাল পাড়ে রাখা হয়। কিন্তু, ফের দেখা যায় সেই একই ছবি। 

মন্ত্রীর খোঁচা গিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কানেও। জটিলতা যে রয়েছে তা মানছেন তিনিও। তিনি বলছেন, কোথাও না কোথাও এই পাঁক তোলার ব্যাপারে জটিলতা রয়ে গিয়েছে, পলি বা পাঁক আবার খালে গিয়েই পড়ছে। কিন্তু, দিনের পর দিন এভাবে টাকার অপব্যয় করে লাভ কী? কাজের কাজ হওয়ার বদলে শুধু অপচয় হচ্ছে বলেই মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। 

কী বলছে  পুরসভা? 

তবে যুক্তি আছে কলকাতা পুরসভার কাছেও। পুরসভা বলছে, এমন অনেক জায়গায় আবর্জনা বা পাঁক তুলে রাখা হয়, সেখানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের গাড়ি ঢুকতে পারে না। ফলে সেই আবর্জনাগুলি তোলা সম্ভবপর হয় না, তা খালের জলে পড়ে যায়। তবে বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাদের দাবি, টাকা নিজেদের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে মন্ত্রীদের পকেটে ঢুকে। যদি সব কাজ নিয়মমাফিক হয় তাহলে মন্ত্রীদের পকেটে টাকা ঢুকবে কিভাবে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।