Minakshi Mukherjee: ব্রিগেড সমাবেশ শেষে নিজেকে ক্যাপ্টেন মনে হচ্ছে? কী বললেন মীনাক্ষী
Minakshi Mukherjee: রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ শেষে টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর ডাক কি মানুষের কাছে পৌঁছেছে? প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি করলেন না ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। বললেন, "লড়াইয়ের ডাক একদিনের মাঠ, একদিনের কয়েকঘণ্টা ঠিক করে না। লড়াইয়ের ডাক ভেতর থেকে অনুভব করতে হয়।"
কলকাতা: বাম কর্মী-সমর্থকদের কাছে তিনি ক্যাপ্টেন। এমনকি, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও তাঁকে ক্যাপ্টেন মনে করেন। প্রবীণ নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মীনাক্ষীই এখন আসল ক্যাপ্টেন। কিন্তু, নিজেকে কোন ভূমিকায় দেখেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক? রবিবার তাঁর ডাকে বাম কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেড ভরানোর পর কি নিজেকে সত্যিই ক্যাপ্টেন মনে হচ্ছে? সমাবেশ নিয়ে কিছুটা উচ্ছ্বসিত হলেও এখনও নিজেকে ক্যাপ্টেন ভাবছেন না মমতা-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সমাবেশের আগে টিভি৯ বাংলাকে বলেছিলেন, আমি ক্যাপ্টেন নই। আর সমাবেশের পরও একই কথা বললেন তিনি। তবে ক্যাপ্টেন কে, সেটাও জানিয়ে দিলেন।
রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ শেষে টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর ডাক কি মানুষের কাছে পৌঁছেছে? প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি করলেন না ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। বললেন, “লড়াইয়ের ডাক একদিনের মাঠ, একদিনের কয়েকঘণ্টা ঠিক করে না। লড়াইয়ের ডাক ভেতর থেকে অনুভব করতে হয়। আমি আজ এই লড়াইয়ে আছি, কেন না আমি বাঁচতে চাই। যাঁরা যাঁরা বাঁচতে চান, তাঁরা এই লড়াইয়ে ছিলেন।”
ইনসাফের জন্য এই লড়াইয়ের পর নতুন কর্মসূচি কী?
ইনসাফের লড়াই চলবে জানিয়ে মীনাক্ষী বলেন, “ইনসাফের লড়াই ক্ষণিকের নয়। ইনসাফের লড়াই কাজের জন্য, শিক্ষার জন্য, রুটির জন্য। ইনসাফ রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষার জন্য। যতদিন না এটা হচ্ছে, একজন মানুষও রাস্তা ছাড়বেন না। পুলিশের ছাউনির তলায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সাবধান হোন। পুলিশও রক্ষা করতে পারবে না।”
ব্রিগেডের সমাবেশে কেন জাতীয় পতাকা?
মীনাক্ষী বলেন, “দেশকে বাঁচানোর রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। দেশকে যাঁরা ডোবাতে চাইছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তো দাঁড়াতেই হবে। জাতীয় পতাকা ভূলুণ্ঠিত হলে, তাকে তো বুকে নিয়ে লড়তে হবে। মাতঙ্গিনী হাজরা লড়েছিলেন। ডিওয়াইএফআই-ও লড়ছে।”
একইসঙ্গে মঞ্চে বাংলার রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “যে গানগুলোকে ওরা বিকৃত করছে, পাঠ্যবই থেকে বাদ দিচ্ছে, সেগুলো আমাদের দেশের সংস্কৃতি। তা রক্ষা করাও আমাদের কাজ।”
ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী?
প্রশ্নটা শুনেই নিরুত্তাপ ভঙ্গিতে বিমানু বসুর ‘ক্যাপ্টেন’ জানিয়ে দিলেন, তিনি ক্যাপ্টেন নন। ব্রিগেড সমাবেশের পরও যে এই তকমা তাঁর জন্য নয়, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন। তবে কে ক্যাপ্টেন, সেটা জানিয়ে দিলেন। মীনাক্ষী বলেন, “মীনাক্ষী ক্যাপ্টেন নয়। ডিওয়াইএফআই যুবদের ক্যাপ্টেন। আর এসএফআই ছাত্রদের ক্যাপ্টেন।”