DYFI: ‘ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি’ কিনতে হুড়োহুড়ি ব্রিগেডে, কয়েক ঘণ্টাতেই বিক্রি ৫০ হাজার বই
Insaaf Yatra Diary: কলকাতা-সংলগ্ন বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষজন এদিন ব্রিগেডে এসেছেন। এঁদের অধিকাংশই ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি কিনতে যুবশক্তির স্টলে ভিড় জমান। ক্রেতাদের মধ্যে বহু প্রবীণ বাম সমর্থক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সুপ্রভ তপাদার বলেন, "রীতিমতো ঠেলাঠেলি করে সংগ্রহ করলাম। ছাত্ররা ৩ হাজার মাইল হেঁটেছে। এটা আমাদের প্রাক্তন যুব কর্মীদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। সাধারণ মানুষকে বামপন্থীতে ফিরিয়ে আনার লড়াই করছে। এরকম ঐতিহাসিক লড়াই দেখিনি ছাত্রজীবনে।"
কলকাতা: মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রবিবার DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। যা স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে। তবে এদিনের ব্রিগেড আরও এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী হল। বামেদের ‘ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি’ কেনার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি বেধে যায় ব্রিগেড ময়দানে যুবশক্তির প্রকাশনীর স্টলে। দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় ৫০ হাজার ডায়েরি। যা দেখে কার্যত হতবাক বুক স্টলের সদস্যরাও।
সূর্য তখন মধ্যগগনে। লালঝান্ডা হাতে নিয়ে, মাথায় লাল টুপি পরা লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে ব্রিগেড ময়দান। মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছেন DYFI-এর নেতা-নেত্রীরা। সেই সময়ই সভামঞ্চের অদূরে অবস্থিত যুবশক্তির প্রকাশিনীর স্টলে বই কেনার জন্য বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি বেধে যায়। অধিকাংশেরই একটাই চাহিদা, ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি। সবার হাতে ৫০ টাকা আর মুখে ‘একটা বই দিন’।
কেন ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি-র জন্য হুড়োহুড়ি?
বাংলার মানুষকে পুনরায় বামপন্থী বিশ্বাসে ফিরিয়ে আনতে এবং রাজ্যবাসীকে ইনসাফ দেওয়ার বার্তা দিয়ে DYFI-এর বই হল ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি। এই বইয়ে DYFI কর্মী-সমর্থকদের ইনসাফ যাত্রা-র কথা ও বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। তাই এই বইটি সংগ্রহ করতে উৎসূক বাম কর্মী-সমর্থকেরা। এছাড়া ইনসাফ যাত্রার ডায়েরির সাধারণ বাজারে দাম ১০০ টাকা। এদিন ব্রিগেড ময়দানে যুবশক্তির প্রকাশিনীর স্টলে এই বইয়ের দাম ধার্য করা হয়েছিল ৫০ টাকা। তাই এই স্টল থেকে বই কিনকে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
বাগনান, কেষ্টপুর-সহ রাজ্যের কলকাতা-সংলগ্ন বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষজন এদিন ব্রিগেডে এসেছেন। এঁদের অধিকাংশই ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি কিনতে যুবশক্তির স্টলে ভিড় জমান। ক্রেতাদের মধ্যে বহু প্রবীণ বাম সমর্থক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সুপ্রভ তপাদার বলেন, “রীতিমতো ঠেলাঠেলি করে সংগ্রহ করলাম। ছাত্ররা ৩ হাজার মাইল হেঁটেছে। এটা আমাদের প্রাক্তন যুব কর্মীদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। সাধারণ মানুষকে বামপন্থীতে ফিরিয়ে আনার লড়াই করছে। এরকম ঐতিহাসিক লড়াই দেখিনি ছাত্রজীবনে।” আবার ব্রিগেড ময়দানে ভিড় হলেও ভোটবাক্সে বিশেষ প্রভাব দেখা যায় না বললে আরেক প্রবীণ বাম সমর্থক বলেন, “সবকিছু ভোট বাক্স দিয়ে বিচার করলে চলে না। শূন্য থেকেই শুরু হয়। প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলাটাই বড় কথা।”
যুবশক্তির স্টলের সদস্যরা জানান, ৫০ হাজার বই আনা হয়েছিল। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২ টোয় সব বই শেষ। অনেককে বই দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেও তাঁরা জানান।