ISF leader Naushad Siddiqui : বন্দিদশা কাটল না নওশাদের, দুই মামলায় খারিজ জামিন
ISF leader Naushad Siddiqui : হেয়ার স্ট্রিট থানায় যে মামলা হয়েছিল সেই মামলায় এদিন পুলিশের তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই চার্জশিটে নওশাদ সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ৩০৭ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
কলকাতা : ফের খারিজ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (ISF leader Naushad Siddiqui) জামিনের আবেদন। হেয়ার স্ট্রিট থানার করা মামলায় তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় (Dharmatala) পুলিশের সঙ্গে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের হটাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ শিবিরের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার করা হয় নওশাদ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। শহর কলকাতার পৃথক তিনটি থানাতে নওশাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছিল। তোলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কয়েকদিন আগে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি মাসের শুরুতে তাঁদের ফের তোলা হয় আদালতে। সেদিনও মেলেনি জামিন। ১৪ দিনের জন্য নওশাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মেয়াদ শেষের পর এদিন ফের তাঁদের আদালতে তোলা হলেও চাপ কমল না নওশাদের।
অন্যদিকে, তিন থানার মামলার মধ্যে নিউমার্কেট থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলায় এদিন নওশাদ সিদ্দিকীকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার জেরে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে। অন্যদিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যে মামলা হয়েছিল সেই মামলায় এদিন পুলিশের তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই চার্জশিটে নওশাদ সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ৩০৭ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চার্জশিট পেশের পরেই নওশাদের আইনজীবীদের করা জামিনের আবেদন সটান খারিজ করে দেন বিচারক।
গত ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বড় সভার আয়োজন করা হয় ISF-র তরফে। অভিযোগ, সেই কর্মসূচিতে আসার পথে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্য়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। নওশাদের উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে ভাঙড়ের দোর্দোণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দলবলের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইএসএফের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভাঙড়ের রেশ এসে পড়ে ধর্মতলাতেও।