কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর সঙ্গে গতরাতে মেন হস্টেলে ঠিক কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক সুবিনয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের অধ্যাপকরা ছাড়াও প্রতিটি ছাত্র সংসদের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে। সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষক সংগঠনের একজন করে প্রতিনিধিকেও রাখা হচ্ছে কমিটিতে। তদন্ত কমিটিতে থাকছেন মেডিক্যাল অফিসার মিতালি দেবও। স্বপ্নদীপের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি।
এদিকে মৃত পড়ুয়ার মামা অভিযোগ তুলছেন, র্যাগিং-এর শিকার হয়েছেন স্বপ্নদীপ। পুলিশকর্মীরা ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশের হোমিসাইড শাখাও। হস্টেলের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশকর্মীরা। কী ঘটেছিল গতরাতে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মেন হস্টেলের চারজন পড়ুয়া পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছেন। সেই চারজনের মধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াও রয়েছে বলে খবর।
পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর যাদবপুরের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়কুমার সরকার বলছেন, ‘রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপ্নদীপকে উদ্ধারের পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশও তাদের কাজকর্ম শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও আইনগতভাবে যা যা করা সম্ভব, তা করা হবে।’