Jadavpur University: ‘দুটো আলাদা আলাদা কালিতে লেখা…, এই FIR কীভাবে বিশ্বাস করা যায়’, যাদবপুরের ছাত্রের বিস্ফোরক অভিযোগ আদালতে
Jadavpur University: অভিযোগকারীর আইনজীবী দাবি করেন, ওই যুবকের বয়ানে অসঙ্গতি আছে। পুলিশকে সুযোগ না দিলে তদন্তে অসুবিধা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। এরপরই সরকারি আইনজীবী ছবি দেখিয়ে অভিযোগ জানান।

কলকাতা: গত ১ মার্চের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হচ্ছে একের পর এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গ্রেফতার হন সৌম্যদীপ মাহাতো নামে এক ছাত্র। ঘটনার দিন অর্থাৎ যেদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগেই নাম জড়ায় সৌম্যদীপের।
আজ, বৃহস্পতিবার সৌম্য়দীপকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, অভিযোগে সৌম্যদীপ মাহাতোর নাম নেই। তাঁর আরও দাবি, যে এফআইআর করা হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবী ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, তাঁর ওই ছাত্রই ছিলেন ঘটনাস্থলে।
অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ করাচ্ছে। দুটো আলাদা আলাদা কালিতে লেখা অভিযোগ পত্র। এই এফআইআর (FIR) কীভাবে বিশ্বাস করা যায়। যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবে হয়নি। জিনিস বাইরে জ্বলতে দেখা গিয়েছে। কে করেছে জানা নেই।”
অভিযোগকারীর আইনজীবী দাবি করেন, ওই যুবকের বয়ানে অসঙ্গতি আছে। পুলিশকে সুযোগ না দিলে তদন্তে অসুবিধা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। এরপরই সরকারি আইনজীবী ছবি দেখিয়ে অভিযোগ জানান। তিনি দাবি করেন, যা প্রশ্ন করা হয়েছিল তার সব উত্তর পাওয়া যায়নি। মোবাইল থেকে কিছু ডিলিট করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে।
‘যদি পুলিশের লোক আসে তাহলে সবাই মোবাইলে ভিডিও করিস।’ এই মেসেজ ডিলিট করা হয়েছে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর। পরীক্ষা দিতে চাইলে জেল হেফাজতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযুক্তের তরফে আইনজীবী বলেন, “পুলিশ হ্যারাস করার চেষ্টা করছে। জেলে বসে পরীক্ষা দেওয়া আর বাইরে পরীক্ষা দেওয়া এক নয়।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, মোবাইলে কিছু ডিলিট করা হলে মোবাইল কেন সিজ করা হল না?
বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী কারণে গ্রেফতার করেছেন? উত্তরে অফিসার বলেন, “যেখানে ছিলেন সেটা জানতে পেরেছি। সঠিক তথ্য পাইনি।”





