Roddur Roy: ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োতে দেশদ্রোহিতার মামলা কেন? সওয়াল-জবাবের মাঝে আজ শান্ত রোদ্দুর

Roddur Roy: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯ টি ধারায় আগেই মামলা দায়ের করা হয়েছে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। এবার যুক্ত হল বটতলা থানার মামলা।

Roddur Roy: 'অশ্লীল' ভিডিয়োতে দেশদ্রোহিতার মামলা কেন? সওয়াল-জবাবের মাঝে আজ শান্ত রোদ্দুর
রোদ্দুর রায়ের ফের জেল হেফাজত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 6:55 PM

কলকাতা: বেশ কয়েকটা দিন জেলে কেটে গিয়েছে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের। অদ্ভুত মুখভঙ্গিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বানানো নতুন ভিডিয়ো থেকে আপাতত বঞ্চিত থাকতে হবে তাঁর অনুগামীদের। কারণ মঙ্গলবারের শুনানিতে ফের রোদ্দুরকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন আরও একটি মামলা যুক্ত হয়েছে তাঁর নামে, আর সেই মামলাতেও দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। তবে যে রোদ্দুরকে ভাষায় লাগাম না দিয়ে কথা বলতে দেখতেই অভ্যস্ত তাঁর ‘ফলোয়ার’রা, সেই তিনি সম্ভবত কারাবাসে শান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার সময় কার্যত ভাবলেশহীন দেখায় তাঁকে। তাঁর পরণে ছিল খয়েরি রঙের পোশাক। সওয়াল- জবাব চলাকালীন আদালতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

মূলত হেয়ার স্ট্রিট থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রোদ্দুর রায়কে। একসঙ্গে ৯টি ধারায় মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই আগে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আর এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও একটি মামলা। ২০২০ সালে কলকাতার বটতলা থানায় রোদ্দুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এ দিন সেই মামলারও শুনানি হয়।

২০২০ সালের ১১ মে রোদ্দুরের করা একটি ভিডিয়ো নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই ভিডিয়ো অশ্লীল বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ভিডিয়ো প্রকাশ করার এক মাস পর অর্থাৎ ওই বছরের জুন মাসে মামলা হয়েছিল। এ দিন বটতলা মামলায় রোদ্দুর রায়ের আইনজীবী দাবি করেন, অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ আনা হলেও এই মামলায় বিদ্বেষ বা দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা হয়েছে। আইনজীবী এ দিন প্রশ্ন করেন, একমাস পর কেন অভিযোগ জানানো হল? যে যে ধারা আনা হয়েছে সেগুলি কী প্রযোজ্য? ১৫৩, ১৫৩ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে আইনজীনী বলেন, ‘দেশদ্রোহিতার মামলা হওয়ার মত কী বলেছেন?’ ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, এই ভিডিয়ো মানহানিকর। আঘাত করতে পারে এমন বক্তব্য রয়েছে এর মধ্যে পুলিশ-সহ সংবিধান এমন কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও অশ্লীল কথা বলা হয়েছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী। তিনি আরও জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কষ্ট করে স্বাধীনতা এনেছেন, রোদ্দুরের  পোস্টে তাঁদের অপমান করা হয়েছে। প্রথম মামলায় ২০ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত ও হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় ২০ জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।