Jammu and Kashmir: কলকাতা থেকে মাত্র ৭ হাজার টাকায় শ্রীনগর বিমানে, হোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড়! কাশ্মীর বাঙালির পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা
Jammu and Kashmir: জঙ্গি হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসার। পর্যটন ব্যবসাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে মরিয়া কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাঙালি পর্যটকদের আবার কাশ্মীর মুখো করতে তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করছেন ব্যাপক ছাড়ের। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার পর নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জম্মু কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা। আর সেই বার্তা নিয়েই শুক্রবার বাংলায় জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়েই বাঙালিদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। সঙ্গে এখন কাশ্মীরে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে, বলে জানালেন কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
জঙ্গি হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসার। পর্যটন ব্যবসাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে মরিয়া কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাঙালি পর্যটকদের আবার কাশ্মীর মুখো করতে তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করছেন ব্যাপক ছাড়ের। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র থেকেই কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটকরা ঘুরতে যান। তাই দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীরমুখো করতে ব্যাপক ছাড়ের ঘোষণা। হোটেল, গাড়িতে লাগু এই ছাড়। পাশাপাশি কমেছে বিমানে যাওয়ার খরচও।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, জঙ্গি হামলার পর পর্যটন ব্যবসা যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও ক্ষরা চলছে। তাই পর্যটকদের জন্য ছাড় ঘোষণা করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে কাশ্মীর। বিধায়ক ফারুক আহমেদ শাহ বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অ্যাম্বাসেডর। আমাদের আলাদা করে আর কোনও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের প্রয়োজন হয় না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলে দিয়েছে, ভারতের যে কোনও প্রান্তের পর্যটন মেলা-অনুষ্ঠান হোকে, সেখানে আমরা অংশ নেব। আমরা প্রমোশন-পাবলিসিটির ওপর এখন ভীষণভাবে জোর দিচ্ছি। বাংলার সঙ্গে আমাদের পুরনো সম্পর্ক। অধিকাংশ কাশ্মীরিদের সেকেন্ড হোম বাংলা। আর বাঙালিদের সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়। শীতকালে প্রচুর কাশ্মীরি বাংলায় আসেন।”
বিধায়ক ফারুক আহমেদ শাহ জানান, কাশ্মীরে পর্যটক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকজন প্রধানও বাংলায় এসেছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছেন। নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক। এক ব্যবসায়ী বলেন, “আগে কলকাতা থেকে শ্রীনগরের যে বিমানের টিকিটের দাম ছিল, ২২ হাজার টাকার কম নয়। কিন্তু সেটা এখন কমে ৭-৮ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। দিল্লি শ্রীনগরের বিমানের টিকিটের দাম ৪ হাজার টাকা হয়েছে। বিমানের টিকিটেই ৭০ শতাংশ ছাড়, হোটেলের ভাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়।” দুর্গাপুজোতেও বিশেষ ছাড় থাকবে।

