কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) প্রচুর সম্পত্তির হদিশ আগেই মিলেছিল। এমনকী, বাইরেও জীবনকৃষ্ণের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি রয়েছে। যদিও সেই সম্পত্তির একটা বড় অংশই বীরভূম জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে কানাঘুষো শোনাও যায়। সূত্রের খবর সেই বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কতটা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন বর্তমানে তদন্তকারীরা। এবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার অ্যাকাউন্টে নজর সিবিআই-এর। তাঁর নামে থাকা দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্রের খবর, চাকরি বিক্রির টাকা বিধায়ক ঠিক কোথায়-কোথায় রেখেছেন তার তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধান করে জীবনকৃষ্ণর নামে আপাতত দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ইতিমধ্যে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে সন্দেহজনক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লেনদেনের যাবতীয় তথ্য ও তার নথিপত্র চাওয়া হবে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট যে সময়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক সেই সময়ে লেনদেনগুলি মিলিয়ে দেখা হবে। ওই সময়ে অ্যাকাউন্টগুলিতে কোথা থেকে টাকা এসেছে, সেই টাকার উৎসগুলিই বা কী? তাও খতিয়ে দেখতে চলেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে গ্রেফতারের পর জীবন কৃষ্ণকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে জীবন কৃষ্ণের নাম উঠে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। এর পর তৃণমূল বিধায়কের মুর্শিদাবাদের বাড়িতে অভিযানে যায় সিবিআই। টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জীবন কৃষ্ণের বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। জীবন কৃষ্ণের মোবাইল ও পেন ড্রাইভেও এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।