Jiban Krishna Saha: এত দামি ‘জীবন’ কীভাবে বানালেন তৃণমূল বিধায়ক? কে এই জীবনকৃষ্ণ?

Jiban Krishna Saha: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। কে এই জীবনকৃষ্ণ? শুধুই কি রাজনীতিবীদ? নাকি তাঁর অন্য পরিচয়ও রয়েছে? তাঁর সম্পত্তির পরিমাণই কত? ঠিক কী কী অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি?

Jiban Krishna Saha: এত দামি ‘জীবন’ কীভাবে বানালেন তৃণমূল বিধায়ক? কে এই জীবনকৃষ্ণ?
জীবনকৃষ্ণ সাহা, তৃণমূল বিধায়ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2023 | 4:45 PM

মুর্শিদাবাদ: শুরুটা হয়েছিল শিক্ষককতা থেকে। তারপর রাজনীতিতে প্রবেশ। আর এখন খবরের শিরোনামে। তিনি তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার সকালে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে শাসকদলের এই বিধায়ককে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। কে এই জীবনকৃষ্ণ? শুধুই কি রাজনীতিবীদ? নাকি তাঁর অন্য পরিচয়ও রয়েছে? তাঁর সম্পত্তির পরিমাণই কত? ঠিক কী কী অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি? রইল ‘জীবনের’ বিস্তারিত…

জীবনকৃষ্ণের পরিচয়

ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় তেলের মিল ও আলুর কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমায় চালের ডিস্ট্রিবিউটার তিনি। প্রথমদিকে, সেই পৈত্রিক ব্যবসাই দেখাশুনা করতেন জীবনকৃষ্ণ।

২০০৪ সাল। প্রাথমিক একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পান জীবন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষকতা ত্যাগ করেন তিনি। ২০২১ সালে নানুরের দেবগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষকতার চাকরি পান। যদিও, বিধায়ক হওয়ার কারণে যোগদান করতে পারেননি।

রাজনীতিতে জীবনকৃষ্ণ

কলেজ জীবন থেকেই তৃণমূল করেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত তিনি। ২০২১ সালে বর্ধমান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অমিও দাসকে ২ হাজার ৭৫৩ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন তিনি।

জীবনের সম্পত্তি

জীবনকৃষ্ণ সাহা পেশাগত দিক থেকে স্কুল শিক্ষক। মহম্মদবাজার বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে আন্দি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে তাঁর প্রায় এক বিঘা জমির উপর বাড়ি। বাড়িতে ডিজাইনের কারুকাজ নেই ঠিকই, তবে বেশ বড়সড়। উঁচু পাঁচিলের চৌহদ্দির মধ্যেই রেশন সামগ্রী মজুত করার বিশাল গোডাউন রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই রাখার ব্যবস্থা রয়েছে বিধায়কের একাধিক লরি ও বিভিন্ন আকারের চার চাকার গাড়ির। বাড়ির পিছনে রয়েছে পুকুর। পুকুরের পাশেই বিধায়কের ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। উর্বর মাটি, তাই এ জমির দরও যথেষ্ট চড়া।

এলাকাবাসীর দাবি, এই সবের বাইরেও জীবনকৃষ্ণের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি রয়েছে। যদিও সেই সম্পত্তির একটা বড় অংশই বীরভূম জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর সেই বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কতটা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন বর্তমানে তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে গ্রেফতারের পর জীবন কৃষ্ণকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে জীবন কৃষ্ণের নাম উঠে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। এর পর তৃণমূল বিধায়কের মুর্শিদাবাদের বাড়িতে অভিযানে যায় সিবিআই। টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জীবন কৃষ্ণের বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। জীবন কৃষ্ণের মোবাইল ও পেন ড্রাইভেও এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।