AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Police: আজও যুক্তি ‘মৃদু বলপ্রয়োগ!’, ঘড়ির কাঁটা ধরে ধরে বোঝালেন যুগ্ম সিপি

Kolkata Police: এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই দিন চাকরিহারাদের রুটের কথা তুলে ধরে রূপেশ বলেন, “ওনারা বালিগঞ্জ স্টেশনে এসে একজোট হন। ওখান থেকে কসবায় ডিআই অফিসের সামনে আসেন। পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ওনারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন তা দেখার জন্যই পুলিশ ছিল।”

Kolkata Police: আজও যুক্তি 'মৃদু বলপ্রয়োগ!’, ঘড়ির কাঁটা ধরে ধরে বোঝালেন যুগ্ম সিপি
কী বলছেন যুগ্ম কমিশনার? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2025 | 5:47 PM
Share

কলকাতা: ফের এক সুর। ফের এক কথা। ফের  ‘মৃদু বলপ্রয়োগ!’। কসবাকাণ্ডে এদিনও জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার স্পষ্টই বললেন, “পুলিশ শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ওনাদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু, একদম শেষে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ‘মিনিমাম ফোর্স’ প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।” প্রসঙ্গত, চাকরিহারাদের আন্দোলন নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। দিন দু’য়েক আগে গোটা রাজ্যেই ডিআই অফিসগুলিতে তালা ঝোলাতে দেখা যায় চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। ওই দিন দিন কসবায় ডিআই অফিস অভিযানকে হয়ে যায় বড় কাণ্ড। পুলিশের বিরুদ্ধে চাকারিহারাদের উপর দেদার লাঠি চার্জ। বুকে লাথি মারারও অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা। সরকারের তুলোধনা করছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষও বলছেন, পুলিশের আরও সংযত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, কীভাবে চাকরিহারারা শান্তির মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করেছিলেন তা একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরে ধরে বোঝালেন যুগ্ম সিপি জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই দিন চাকরিহারাদের রুটের কথা তুলে ধরে রূপেশ বলেন, “ওনারা বালিগঞ্জ স্টেশনে এসে একজোট হন। ওখান থেকে কসবায় ডিআই অফিসের সামনে আসেন। পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ওনারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন তা দেখার জন্যই পুলিশ ছিল। বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ১২টা ১১ মিনিটে ওনারা ডিআই অফিসে পৌঁছান। জোর করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। আমাদের গার্ডরেল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়।”  

যুগ্ম কমিশনারের দাবি, “পুলিশ ওনাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু, ওনারা বল প্রয়োগ করতে থাকেন। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে যায়। একের পর এক গেটে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওনারা। ভিতরে ঢুকে কোলাপসিবল গেটের কাছে ওনারা জড়ো হন। উপরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।” এখানেই শেষ নয়। বিস্ফোরক দাবি করে রূপেশ আরও বলেন, “ওখানে কিছু লোক তো পরিষ্কারভাবে ভেঙে দেওয়া, পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ তখনও ওদের শান্তিপূর্ণভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত ‘মিনিমাম ফোর্স’ প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।”

কোন কোন সময় চাকরিহারারা ‘আইন হাতে তুলে নেন’ তাও বোঝায় পুলিশ

রূপেশ বলছেন, “১২টা ১১ মিনিটে ওনারা পৌঁছান। ১২টা ১৮ মিনিটে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙেন। ১২টা ১৯ মিনিটে মেন গেটে হামলা। ১২.২৮ মিনিটে ভিতরের তালা ভাঙার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ উস্কানিও দিচ্ছে। ১২.৩০ মিনিটে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে।”