Doctor’s Protest: শহরে মশাল মিছিল, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা পথে নামলেন
Doctor's Protest: মিছিলে মশাল হাতে ছিলেন আরজি করের প্রতিবাদী মুখ অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, "সাগর দত্তর মতো ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে নিরাপত্তা আপসের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর তারপর পূর্ণ কর্মবিরতিতে যেতে পারি।"
কলকাতা: প্রতিবাদের আগুন জ্বলছেই। আজ রবিবার মশাল মিছিল করলেন চিকিৎসকরা। শহর কলকাতার সঙ্গে জেলায় জেলায় একই ছবি দেখা গিয়েছে এদিন। আরজি করের ঘটনায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছিলই। তাতে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে সাগর দত্তর ঘটনা। আর এতেই আরও গনগনে হল প্রতিবাদের মশাল।
তিলোত্তমার বিচার এবং রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে ফের পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের আহ্বানে পা মেলাল নাগরিক সমাজও। রবিবার সন্ধ্যা নামতেই হাতে হাতে জ্বলে ওঠে মশাল-মোমবাতি। আরজি কর হাসপাতাল থেকে মিছিল শুরু করে শ্যামবাজার পৌঁছন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মিছিলে মশাল হাতে ছিলেন আরজি করের প্রতিবাদী মুখ অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, “সাগর দত্তর মতো ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে নিরাপত্তা আপসের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর তারপর পূর্ণ কর্মবিরতিতে যেতে পারি।”
এদিকে হামলার প্রতিবাদে সাগর দত্ত মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তার মধ্যেই মশাল হাতে ডানলপ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন তাঁরা। এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “তিলোত্তমার ঘটনার পর নিরাপত্তা চেয়েছি। পেলাম না। তাই আবার একটা ঘটনা ঘটল। আবারও আমাদের পথে নামতে হল।”
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের মশাল মিছিলও ধর্মতলায় যায়। এসএসকেএম, এনআরএস থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলের গন্তব্যও ছিল ধর্মতলাই। পুজোর আগে এমন ছবি দেখেনি কলকাতা।
গড়িয়াহাট ধরে যখন মিছিল এগোচ্ছে, তখন মার্কেটিং করতে আসা বহু মানুষ কেনাকাটা ছেড়ে নেমে এলেন পথে। তাঁরাও স্লোগানে মেলালেন স্লোগান। হবে নাই বা কেন? পুজোর সঙ্গে প্রতিবাদের তো কোনও বিরোধ নেই? বরং যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্তেই প্রতিবাদের স্বর জোরাল হওয়া উচিত।