কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাঁচ বছরের পুরনো একটি মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। কলকাতার ওই কলেজের গভর্নিং বডি-র এক প্রাক্তন সদস্য নীল বসু ২০১৮ সালে সুনন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এদিকে সম্প্রতি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ নিয়ে আরও একটি মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন পুরনো মামলা উত্থাপন করেন নীল বসু। অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
মূলত আর্থিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে। জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছিল। ২০১৮ সালে কলকাতার চারু মার্কেট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন নীল বসু। তাঁর দাবি, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি সেই সময়। এরপর আদালতের মাধ্যমে এফআইআর করেন তিনি। পরে ফের পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে তথ্য ভুল আছে বলে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিলেও সে ব্যাপারে অভিযোগকারীকে কিছু জানানো হয়নি। আদালত মনে করছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানেনি পুলিশ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশন (Anti frod section) তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, প্রয়োজনে সুনন্দা গোয়েঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি, তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সিআইডি।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ওই মামলা হওয়ার পর ২০১৯ সালে সুনন্দাকে দেওয়া হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল তিন বছর। অর্থাৎ মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন আর তাঁর কোনও রক্ষাকবচ নেই।
এদিকে, সম্প্রতি হওয়া একটি মামলায় রাতারাতি অধ্যক্ষ পদ থেকে সুনন্দা গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে অধ্যক্ষা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলে, তাঁকে ওই পদে বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে মূল মামলাটি শুনছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।