Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘ডিআই কি জমিদার!’ আরও এক জেলা স্কুল পরিদর্শককে সরানোর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Shrabanti Saha | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 26, 2023 | 5:59 PM

Justice Abhijit Gangopadhyay: এদিনই আবার শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলার জটিলতায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘ডিআই কি জমিদার!’ আরও এক জেলা স্কুল পরিদর্শককে সরানোর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের পর দক্ষিণ ২৪ পরগণা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই। একই দিনে অপসারিত দুই জেলার দুই ডিআই তথা জেলা স্কুল পরিদর্শক। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির পর্যবেক্ষণ, এর ফলে বাকি জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে একটা কড়া বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। তাঁদের কাজ-দায়িত্ব নিয়ে আরও তৎপর হবেন। কিন্তু, কী কারণে সরতে হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই সুজিত হাইতকে? উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে বছর চারেক আগে। 

রবীন্দ্রনাথ হালদার নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম স্ত্রী কুসুম হালদার। দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। জল গড়িয়েছিল আদালতে। দ্বিতীয় বিবাহ বৈধ নয় বলে সাফ জানিয়েছিল আদালত। অথচ, রবীন্দ্রনাথবাবুর পেনশনের টাকা প্রথম স্ত্রীর বদলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিআই সুজিত হাইত। যা নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন চলে। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। সেখানেই এবার সুজিতবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

কীভাবে এই অনুমতি দিলেন ডিআই সুজিত হাইত? এদিন সওয়াল-জবাবের শুরুতেই এই প্রশ্ন করেন মামলাকারী আইনজীবী। তখনই ডিআই-এর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। স্পষ্ট বলেন, এই সিদ্ধান্তে ক্যাজুয়াল ম্যানার ছিল ডিআইয়ের। রীতিমতো রেগে গিয়ে বলেন, ডিআই কি জমিদার! আজ থেকে আর থাকার দরকার নেই।

সূত্রের খবর, মামলার শুনানিতে ওই সরকারি কর্তার সপরিবার সম্পত্তির তদন্তের নির্দেশ দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। এরপরই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বর্তমান ডিআইকে সরিয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অন্য কাউকে সেই পদে বহাল করবেন। বর্তমান ডিআই পদ থেকে সরে যাবেন। তবে তাঁর চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সূত্রের খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৬ অক্টোবর। 

অন্যদিকে, এদিনই আবার শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলার জটিলতায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

Next Article