Kamduni Verdict: নিম্ন আদালতের প্রমাণ হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি, দাবি মৌসুমি কয়ালের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 07, 2023 | 3:45 PM

Kamduni: মৌসুমি বলেন, "আমি হাইকোর্টকে কোনওভাবেই অবমাননা করছি না। হাইকোর্টকে সম্মান জানিয়ে, বিচারপতিকে সম্মান জানিয়ে একটা কথা বলতে চাই, এখানে কিন্তু বিচারপতির হাত নেই। বিচারকের সামনে যে সমস্ত নথি পেশ করা হয়েছে, তার উপরই তো ভিত্তি করেই তো দোষীদের এই বিচার হয়েছে।"

Kamduni Verdict: নিম্ন আদালতের প্রমাণ হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি, দাবি মৌসুমি কয়ালের
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৌসুমি কয়াল।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সাজা মকুবে খুশি নয় কামদুনি। কামদুনির অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমি কয়াল টিভিনাইন বাংলাকে জানান, তাঁরা যথার্থ বিচার পাননি। টাকার বদলে সবটা কেনা হয়েছে। মৌসুমির দাবি, হাইকোর্ট বা বিচারপতির প্রতি তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে মামলার মীমাংসা যেহেতু প্রমাণের উপর ভিত্তি করে হয়, সেই প্রমাণেই হয়েছে কারচুপি। মৌসুমির দাবি, নিম্ন আদালতে যে তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছিল, সেসব বদলে ফেলা হয় হাইকোর্টে। বলেন, “পুরো তথ্য প্রমাণ বদলে দেওয়া হয়েছে। কেসটা টাকার বিনিময়ে কেনা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে কেসটা ধামাচাপা দেওয়া হল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছিল। এ অন্যায় আমরা মানতে পারছি না। আমরা দীর্ঘদিনের লড়াই। টাকা দিয়ে সব কিনে নিয়েছে। আমরাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

মৌসুমি কয়াল বলেন, “সিআইডি যে রিপোর্ট বানিয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই। পুলিশ যে চার্জশিট তৈরি করেছিল তাতেও কিছু নেই। ডাক্তার যে ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরি করেছিল তাও ভুয়ো। নিম্ন আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়, হাইকোর্টে কোনও কিছু পেশ করা হয়নি। আমি হাইকোর্টকে কোনওভাবেই অবমাননা করছি না। হাইকোর্টকে সম্মান জানিয়ে, বিচারপতিকে সম্মান জানিয়ে একটা কথা বলতে চাই, এখানে কিন্তু বিচারপতির হাত নেই। বিচারকের সামনে যে সমস্ত নথি পেশ করা হয়েছে, তার উপরই তো ভিত্তি করেই তো দোষীদের এই বিচার হয়েছে।”

মৌসুমি কয়াল জানান, যে রায় তাঁরা প্রত্যাশা করেছিলেন, সেই রায় দেওয়া হয়নি। অপরাধীরা যাতে শাস্তি পান, তার জন্য বারাসত কোর্ট থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট, হাইকোর্ট অবধি ছুটে বেরিয়েছেন বলে জানান তিনি। মৌসুমির কথায়, যেদিন মামলার ডেট পড়ত আদালতে যেতেন তাঁরা। সেখানে সরকারি আইনজীবী বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কার্যত নীরব থাকতেন বলেও দাবি করেন মৌসুমি।

মৌসুমি কয়াল বলেন, “আগের দিন যখন শুনেছিলাম হাইকোর্ট এবার রায় দেবে, অনেক আশা করেছিলাম। যারা এই জঘ্যতম অপরাধ করেছে তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা পায়। আশা ছিল সেটা হবে। নিম্ন আদালতে তিনজনের ফাঁসির নির্দেশ হয়, তিনজনের যাবজ্জীবন কারাবাস। সেখানে হাইকোর্টে এসে এরকম রায়। আমার মানুষের কাছেই প্রশ্ন, যেখানে নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা হয় সেখানে উচ্চ আদালতে এসে বেকসুর খালাস হয়ে যায়? আমরা টাকা, চাকরি কিছুই চাই না। আমরা বিচার চাই। আমাদের টাকা নেই বলে বিচার পাব না? সরকার, পুলিশ, সিআইডি আমাদের বিচার না পাইয়ে দিলে দিল্লি তো যেতেই হবে।”

Next Article