‘আমার ছেলেকে কে ফাঁসিয়েছেন সবাই জানে! নোংরা রাজনীতি চলছে’
Kasba Fake Vaccination: অরবিন্দর ভাই বলেছেন, তাঁর দাদার সঙ্গে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে।
কলকাতা: তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। দাবি করলেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে নায়ক দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) দেহরক্ষী তথা প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী অরবিন্দ বৈদ্যর (Arabinda Baidya) মা। বৃহস্পতিবার রাতে এসটিএফ তাঁকেও গ্রেফতার করেছে।
অরবিন্দ বৈদ্যের মায়ের দাবি, দেবাঞ্জনের সংস্থায় মাত্র সাড়ে চার মাস কাজ করেছেন তাঁর ছেলে। কারা অরবিন্দকে ফাঁসিয়েছেন, সবাই তা জানে। অরবিন্দর ভাই বলেছেন, তাঁর দাদার সঙ্গে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী অরবিন্দ বৈদ্যকে তলব করে লালবাজার। তাঁকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল বেশ কিছু নথি। দীর্ঘক্ষণ অরবিন্দকে জেরা করা হয়। কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায়, পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, দেবাঞ্জনের কারবার সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত ছিলেন অরবিন্দ। জালিয়াতির কারবারের সঙ্গে অরবিন্দ যুক্ত ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো টিকাকরণ থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা- দেবাঞ্জনের সব কারবারেই তিনি সঙ্গী ছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রথম থেকেই অরবিন্দ নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে আসছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, দেবাঞ্জনের কারবার সম্পর্কে তিনি কিছুই আগে থেকে জানতেন না। এমনকি তাঁকেও নাকি চাকরি দেওয়ার সময়ে ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। গ্রেফতারির পরই পুলিশ যখন তদন্ত করেছে, গোটা বিষয়টি তাঁর সামনে স্পষ্ট হয়। কিন্তু অরবিন্দর বক্তব্য মানতে নারাজ ছিলেন তদন্তকারীরা। কারণ এক জন দেহরক্ষী, যিনি সর্বক্ষণ দেবাঞ্জনের সঙ্গে রয়েছে, কীভাবে কিছুই জানতেন না তিনি? সন্দেহ হয় সেখান থেকেই।
অরবিন্দের ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। গড়মিল থাকে সেখানেও। দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দের মাসিক বেতন ছিল ৬০ হাজার টাকা। তাছাড়াও নানা কারণে আর্থিকভাবে দেবাঞ্জনের থেকে লাভবান হয়েছেন অরবিন্দ। ওই টাকায় কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যদি ভ্যাকসিন নেওয়া অপরাধ হয়, আগে মিমিকে গ্রেফতার করা হোক: আদালতে দেবাঞ্জনের আইনজীবী
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের আবহে দুটি ছবি তোলপাড় ফেলে দেয়। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের সঙ্গে বহু দিন ধরেই ধনখড়ের যোগাযোগ ছিল। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রথম যে ছবিটি সামনে আনেন, তাতে অরবিন্দকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে দেবাঞ্জনের পিছনে। ঠিক তার পরের ছবিতেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অরবিন্দ। অর্থাৎ দেবাঞ্জন কাণ্ডে রাজ্যপাল যোগসূত্র উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। বিতর্ক দানা বাঁধে। তারপরই অরবিন্দকে লালবাজারে তলব করেন গোয়েন্দারা।