AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

EXCLUSIVE: ‘লোভী চোখ’ ঘুরত সবসময়, কলেজে টেকা দায় ছিল ছাত্রীদের! আগেও ২ ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছে কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত

Kasba Case Update: অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতার উপদ্রবে কলেজে টেকা দায় ছিল ছাত্রীদের। নানাভাবে ছাত্রীদের হেনস্থা, হয়রানি করত অভিযুক্ত। সেই কারণে ২০১৮ সালে ৪ বছরের জন‍্য বহিস্কৃতও হয় অভিযুক্ত।

EXCLUSIVE: 'লোভী চোখ' ঘুরত সবসময়, কলেজে টেকা দায় ছিল ছাত্রীদের! আগেও ২ ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছে কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত
কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2025 | 8:50 AM
Share

কলকাতা: কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের শিকার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মূল অভিযুক্ত কলেজেরই ‘দাদা’ তথা অস্থায়ী কর্মী। তৃণমূল নেতা ওই অভিযুক্তকে ধর্ষণে মদত দিয়েছিল কলেজেরই দুই ছাত্র। কসবা কাণ্ডে যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই গুণধর নেতার নানা কীর্তি বেরিয়ে আসছে। জানা গেল, মূল অভিযুক্তের নামে এর আগেও তিন যুবতীর শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। TV9 বাংলার হাতে এল সেই সব অভিযোগপত্র।

অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতার উপদ্রবে কলেজে টেকা দায় ছিল ছাত্রীদের। নানাভাবে ছাত্রীদের হেনস্থা, হয়রানি করত অভিযুক্ত। সেই কারণে ২০১৮ সালে ৪ বছরের জন‍্য বহিস্কৃতও হয় অভিযুক্ত। কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পরীক্ষা ছাড়া কলেজে আসতে পারবে না ওই অভিযুক্ত। ২০২২ সালে সাসপেনশন ওঠার পরে ২০২৩ সাল থেকে ফের কলেজের দাদা হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে কলেজে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের ক্রিমিনাল রেকর্ডের দিকে যদি দেখা যায়, তাহলে চোখ কপালে উঠবে। ২০১২ সালে সাউথ ক‍্যালকাটা ল কলেজে ভর্তি হয় অভিযুক্ত।  ২০১৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কালীঘাট থানা এলাকায় ক‍্যাটারিং কর্মীর আঙুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর জেরে কলেজের অ‍্যাডমিশন বাতিল হয়। সেই সময় ৩ বছর ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত।

২০১৭ সালে ফের কলেজে রি-অ‍্যাডমিশন নেয় অভিযুক্ত।  ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ মনোজিতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে ২ ছাত্রী। এনআরএসে মেডিক্যাল-ও হয়েছিল ওই ২ ছাত্রীর। কিন্তু কিছুদিনের মধ‍্যে ধামাচাপা পড়ে যায় ওই ঘটনা। তারপরেও কলেজে উপদ্রব থামেনি অভিযুক্তের। ৪ বছর সাসপেন্ড হওয়ার পর আবার কলেজে ফিরে এসে গুন্ডামি।

২০২৩ সালের ২৩ মার্চ ফের মেয়েদের উত‍্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই বছরই ১ ডিসেম্বর গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর অভিযোগ দায়ের হয় কসবা থানা এলাকায়। গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর ফের ছাত্র পেটানোর অভিযোগ ওঠে টলিগঞ্জ থানা এলাকায়।