Kasba Case Update: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে বিরাট মোড়, অপরাধের সময়ে কলেজেই ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল? চাঞ্চল্যকর তথ্য TV9 বাংলার হাতে
Kasba Law College Update: কসবার ওই কলেজের রেজিস্টার বলছে, ধর্ষণকাণ্ডের সময় কলেজের ভিতরেই ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল। নির্যাতিতা বয়ানে জানিয়েছেন, সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তাঁর উপরে অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা।

কলকাতা: কসবার গণধর্ষণ কাণ্ডে বড় মোড়। কলেজের উপাধ্যক্ষের হাজিরা ঘিরে রহস্য। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৫ জুন কসবার ওই কলেজেই হাজির ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়? সেই প্রমাণই দিচ্ছে কলেজের রেজিস্টার।
কসবার ওই কলেজের রেজিস্ট্রারে দেখা যাচ্ছে, ৯ টা ৫০ মিনিটে তিনি ঢোকেন এবং ৯ টা ৫০ মিনিটেই কলেজ ছাড়েন! টিভি নাইন বাংলার হাতে সেই রেজিস্টারের ছবি।
AM-PM ধোঁয়াশা-
রেজিস্টারে সকালে কলেজে ঢোকার সময় উল্লেখ থাকলেও, আউট টাইমে যে ৯টা ৫০ লেখা আছে, তাতে এম বা পিএম উল্লেখ নেই। এই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনও দিনই এম-পিএম অর্থাৎ সকাল-বিকালের সময় উল্লেখ করেননি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেউ সকাল ৯টা ৫০-এ কলেজে এসে, তখনই নিশ্চয়ই বেরিয়ে যাবেন না। যদি দ্বিতীয় ৯টা ৫০ সময়টা রাতের হয়, তাহলে ধর্ষণকাণ্ডের সময় কলেজে থাকার কথা ভাইস প্রিন্সিপালের। ভাইস প্রিন্সিপাল এর আগেই টিভি৯ বাংলাকে জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন কলেজেই ছিলেন তিনি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিনের ঘরে মিটিং চলছিল। এরপরে তিনি কলেজে ছিলেন কি না, তা নিয়েই ধোঁয়াশা।
নির্যাতিতা বয়ান অনুযায়ী, সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তাঁর উপরে অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা। যদি ভাইস প্রিন্সিপাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কলেজে ডিনের মিটিংয়ে থাকেন, তাহলে কখন বেরিয়েছিলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
তবে ঘটনার পরেরদিন, অর্থাৎ ২৬ জুন তিনি রেজিস্টারে প্রথমে ইন টাইম উল্লেখ করেছিলেন সাড়ে ন’টা। পরে তা কেটে ১০টা ১৫ মিনিট করা হয়। আউট টাইমে লেখা ছিল রাত ৮ টা ৩০ (PM লেখা ছিল)। পরে তা কেটে হাফ ডে লিখে চলে যান। অর্থাৎ রেকর্ডে পরেরদিন তিনি এম-পিএমের উল্লেখ করলেও, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে এম-পিএমের উল্লেখ করা নেই। একমাত্র ঘটনার পরের দিনই পিএম লেখা ছিল, যেটা পরে কেটে দিয়ে হাফ ডে লেখা হয়।
টিভি৯ বাংলার তরফে নয়না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁর ফোন সুইচ অফ।
এর আগে যখন টিভি৯ বাংলার তরফে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন কলেজেই ছিলেন। তবে ঘটনার কথা জানতে পারেননি তিনি। পুলিশে এফআইআর হয়ে গেলেও, তার পরের দিনও ঘটনার কথা জানতে পারেননি। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে, ২৭ জুন কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন বিষয়টি।
কলেজের সিসিটিভি ফুটেজের অ্যাক্সেসও ভাইস প্রিন্সিপালের রুমে থাকে। ঘটনার পরেরদিন, ২৬ জুন তিনি কলেজে আসেন, তিনি আগের দিনের ফুটেজ চেক করেননি? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।





