কলকাতা: বাংলার রাজনীতির ময়দানে তিনি তুলনামূলকভাবে নব্য। তবে এখন তাঁকে সবাই একডাকে চেনে। সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর পরিচিতি পোড় খাওয়া নেতাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। দিলীপ ঘোষ বললেই সবার চোখে ভাসে সাদা পাজামা-কুর্তা, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় আর চোখে সরু ফ্রেমের চশমা। সভাপতি পদ থেকে সরে গেলেও রাজ্য বিজেপির মুখ হিসেবে আজও তাঁকে চেনেন অনেকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছেন তিনি।
সাত সকালে পার্কে গিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করা, চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া দিলীপ ঘোষের কত সম্পত্তি আছে জানেন, কত টাকাই বা আয় করেন তিনি?
নিজেকে দলের সবসময়ের কর্মী বলেই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর আয় বলতে সাংসদ হিসেবে পাওয়া বেতন ও ভাতা। গত তিন বছরের আয়ের হিসেব হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৩০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেন ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬০ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছেন ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৫০ টাকা। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, সাংসদ হিসেবে মাসে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষের হাতে আছে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছেন তিনি। পোস্ট অফিসে মোট চারটি স্কিমে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মোট অঙ্ক ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা।
এবার আসা যাক স্থাবর সম্পত্তির কথায়। সম্পত্তি বলতে দিলীপ ঘোষের কাছে রয়েছে একটি জমি ও একটি ফ্ল্যাট। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জমির বর্তমান মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। আর তাঁর ফ্ল্যাট রয়েছে নিউটাউনের আইডিয়াল ভিলা কমপ্লেক্সে। যে ফ্ল্যাটটি তিনি ৯৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে স্থাবর সম্পত্তি মোট ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছেন দিলীপ।