কলকাতা: “দেহ পড়ে থাকলে সার্টিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা নয়। কোভিড (COVID) কিনা, তা পরে রিপোর্ট এলেও চলবে। আগেই তৎপরতার সঙ্গে সেই দেহ সংগ্রহ করা হবে।” কোভিড তৎপরতায় নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার (Kolkata Minicipal Corporation)।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ওয়ার্ডে গাড়ি থাকবে। কোথাও কোনও মৃত্যুর খবর হলে, নির্দিষ্ট বাড়ি থেকে গাড়ি দেহ তুলবে। তারপর সেই দেহ তুলে পিস হেভেনে রাখা হবে। কেবল মাত্র সার্টিফিকেশনের দেহ দীর্ঘক্ষণ আর ফেলে রাখতে হবে না। কোভিড রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর পজিটিভ এলে পিস হেভেন থেকেই দেহ কোভিড বিধি মেনে দাহ করা হবে। দেহ আর কোনও এলাকায় পড়ে থাকবে না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর রক্সি হলে কলকাতার সব কো অর্ডিনেটরদের নিয়ে বৈঠক হয়। তাতেই গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছরের এপ্রিলের সেই চিত্র যেন এখন আবার ফিরে এসেছে। তবে স্বাস্থ্য মহলের একাংশ বলছে, এবারের মৃত্যুর হার কিছুটা বেশি। হাসপাতালে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীদের ভিড়। বেড না পেয়ে হাহাকার, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অক্সিজেন, ওষুধের সঙ্কট। অনেক জায়গাতে দেখা যাচ্ছে, বাড়িতেই মৃত্যু হচ্ছে কোভিড রোগীর। তাঁদের দেহ পড়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গত কয়েক দিনে খোদ কলকাতার বুকেই দেখা গিয়েছে গড়ফায় এক ৭৭ বছরের কোভিডে মৃত্যু বৃদ্ধের দেহ পড়ে ছিল টানা ১৫ ঘণ্টা।
এই পরিস্থিতিতে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, যদি কোনও কোভিড রোগীর মৃত্যু বাড়িতেই হয়, তবে তিনি যে চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন ছিলেন, তিনিই ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সেটি ভার্চুুয়ালিও হতে পারে। এরপরও দেখা গিয়েছে, দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। দেহ কোনও অবস্থাতেই যাতে এলাকায় পড়ে না থাকে, তার জন্য এই বিশেষ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: বড় খবর: গড়ে ঘাসফুলের দাপট, ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন অর্জুন সিং!
পাশাপাশি বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই অটো ভাড়া করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সচেতনতা প্রচার শুরু করতে হবে। করোনা মোকাবিলা মাইকিং করতে হবে। স্বাস্থ্য কর্মীদের আরও বেশি সক্রিয় থাকার কথা বলা হয়েছে। যাতে ওয়ার্ড ভিত্তিক রিপোর্ট দ্রুত আসে, সে ব্যাপারে বিশেষ আলোকপাত করা হয়েছে।