কলকাতা: ফের রাতের সেক্টর ফাইভে (Salt Lake Sector V) বেপরোয়া গতির জের। গাড়ি উল্টে মারাত্মকভাবে জখম ২। রবিবার রাতে সেক্টর ফাইভে দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ধাক্কা মেরে উল্টে যায় এক গাড়ি।গাড়িতে দুই তরুণী ও দুই যুবক ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রত্যেকেই। তবে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাইভেট গাড়িটি নিকোপার্কের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। ওই রাস্তায় নবদিগন্ত পার্কের সামনে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। এরপর স্থানীয়দের ও পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ির ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। গাড়িতে দুই যুবক ও দুই তরুণী ছিলেন। তবে তাঁরা মদ্যপ ছিলেন কিনা, তা পুলিশ এখনও জানায়নি।
গাড়িটিকে আটক করে দক্ষিণ থানার পুলিশ। একদিকে মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে রাস্তাটি অত্যন্ত সংকীর্ণ। সেই কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে নিকো পার্ক সংলগ্ন রাস্তায়। তার ওপর গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন চালক। ফলে ওই রাস্তায় দুর্ঘটনায় নিত্য হচ্ছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “দূর থেকে দেখছিলাম পিছনের গাড়িটা সামনের গাড়িকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু পারছিল না। একদিকে তো রাস্তায় কাজ হচ্ছে। সরু রাস্তা। পাশ কাটাতে গিয়েই ডিভাইডারে সজোরে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তারপর উল্টে যায়।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই সকালে নিকো পার্কের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। কারণ সেই ওভারটেক। একটি প্রাইভেট গাড়ি উল্টে আহত হলেন পাঁচজন। অভিযোগ, দু’টি গাড়ির রেষারেষি এবং ওভারটেকের লড়াইয়েই এই দুর্ঘটনা। একটি অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে একটি প্রাইভেট গাড়ির রেষারেষির ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থান পাঁচজনকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি।
কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা চিংড়িঘাটা মোড় পর্যন্ত ইএমবাইপাসে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। কিন্তু চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে নেমে সেক্টর ফাইভ বা নিউটাউন যাওয়ার রাস্তায় এই স্পিড লিমিটার অমিল। এই রাস্তাটি আবার বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে। এখানে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় স্পিড লিমিটার নেই বলেই অভিযোগ।
এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হচ্ছে চালকদের।
আরও পড়ুন: উপকূলে প্রবল বৃষ্টি নামাচ্ছে ‘গুলাব’, সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: Bharat Bandh: বনধ মোকাবিলায় কড়া প্রস্তুত লালবাজার, শহর জুড়ে পুলিশ পিকেট