Bharat Bandh: বনধ মোকাবিলায় কড়া প্রস্তুত লালবাজার, শহর জুড়ে পুলিশ পিকেট

Bharat Bandh: নয় মাস কেটে গিয়েছে কৃষক আন্দোলনের। এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় আন্দোলনকারী কৃষকরা।

Bharat Bandh: বনধ মোকাবিলায় কড়া প্রস্তুত লালবাজার, শহর জুড়ে পুলিশ পিকেট
বনধ মোকাবিলায় কড়া প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ(ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 7:12 AM

কলকাতা: আজ, সোমবার বনধ (Bharat Bandh) মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের দায়িত্বে পুলিশি ব্যবস্থা। প্রত্যেক থানাকে এলাকায় ঘনঘন টহলদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। বাজারে পিকেট বসানো হয়েছে। শহরজুড়ে বসেছে ৬০ টি পুলিশ পিকেট। জোর করে বনধ সফল করতে গেলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (Samyukta Kisan Morcha) ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে পথে নামছে বামেরা। ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং রাজ্য সরকারী কর্মীদের সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি বনধকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। বনধকে সমর্থন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেসও।

নয় মাস কেটে গিয়েছে কৃষক আন্দোলনের। এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই মর্মেই সোমবার সারা দেশ জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা।

এ দিন ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি বনধ জারি থাকবে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের স্কুল, অফিস, বাজার, কারখানা সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হবে। সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না। কোনও অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হবে না। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল ইত্যাদিতে ছাড় দেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে কৃষকরা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন, কৃষক সংগঠন, শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন সহ প্রায় ১০০ টি সংগঠন মিলে ভারত বনধে সমর্থন জানিয়েছে। অল ইন্ডিয়া কিসান সভার সভাপতি জানিয়েছেন, রাজ্যস্তরীয় বৈঠকে বনধে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০০ সংগঠনের মোট ২০০ জন নেতা ওই বৈঠকে যোগ দেন। মহারাষ্ট্র ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে সমস্ত দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ভারত বনধ সফল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের প্রসঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়, যতদিন না সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে, তারা আন্দোলন চালিয়েই যাবে। আন্দোলনের নয় মাস কেটে যাওয়ার পরও সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। স্বেচ্ছায় নয়, কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্যই কৃষকরা দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লির সীমান্তে বসে রয়েছে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।এই বনধকে এবার সমর্থন করছে রাজনৈতিক দলগুলিও। কংগ্রেস-সিপিএম-আপসহ ১২টি বিজেপি বিরোধী দল কৃষকদের এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে।

তবে কলকাতায় বনধে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য আগেভাগেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। শহরের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে টহলদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Bharat Bandh Live: কৃষি আইন প্রতিবাদে ভারত বনধ কৃষকদের, ১০ ঘণ্টার বনধে সমর্থন বাম-কংগ্রেসেরও