RG Kar Medical: কেন রাতারাতি ডেপুটি সুপার বদল? স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি চিকিৎসকদের
Association Of Heath Service Doctors: ছাত্র আন্দোলনের জেরেই রাতারাতি ডেপুটি সুপার বদল হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
কলকাতা: কয়েকদিন আগেই বদলির নির্দেশ জারি হয়েছে আরজিকর (RG Kar)-এর ডেপুটি সুপার সুপ্রিয় চৌধুরীর। রাতারাতি তাঁকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন এ ভাবে এক কম সময়ের নোটিসে বদলি করা হলে তাঁকে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। এই ইস্যুতে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিল চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরস। TV9 বাংলায় প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, এ ভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন সুপ্রিয় চৌধুরী।
কেন এ ভাবে একজন বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ চিকিৎসককে অপদস্থ করা হল, সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে এই চিঠিতে। শুধু তাই নয়, কোনও নথি তিনি চুরি করেছেন কি না, তা দেখতে বদলির আগে যে ভাবে তাঁর পরীক্ষা করা হয়েছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠন। এই ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়েছে ওই সংগঠন। যারা এর পিছনে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে।
গত মাসদুয়েক ধরে চলা পড়ুয়া চিকিৎসকদের আন্দোলন চলেছে আরজি করে। একাশের অনুমান, সেই আন্দোলনের জেরেই এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এরই মধ্যে বদলির আগে চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ আসে TV9 বাংলার হাতে। যেখানে দেখা যায়, রাতে বদলির নির্দেশ আসার পরই চূড়ান্ত তৎপরতার সঙ্গে দফতরের ফাইলপত্র গোছাচ্ছেন আরজিকর হাসপাতালের বিদায়ী ডেপুটি সুপার। সুপ্রিয়-বিরোধী গোষ্ঠী চিকিৎসকদের অভিযোগ, দফতর ছাড়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ‘সরিয়ে’ নিয়েছেন সুপ্রিয় চৌধুরী।
যদিও এই নিয়ে বিদায়ী ডেপুটি সুপার জানান, গত ৬-৭ বছর ধরে দিনে ১০ ঘণ্টা করে হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবে তাঁর প্রচুর জিনিসপত্র অফিসে থেকে যাবে। তাঁর নিজে টাকা দিয়ে কেনা অনেক জিনিস, গল্পের বই নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় ৪০ টার বেশি গল্পের বই ছিল তাঁর। স্বাস্থ্য দফতর যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল, সেখানে বলা হয় সুপ্রিয় চৌধুরী নতুন দায়িত্ব নিয়ে আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন। ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পদে কাজ করবেন তিনি। আরজিকরের ডেপুটি সুপার পদের দায়িত্ব সামলাবেন ত্রিদিব মুস্তাফি।
একাধিক দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে গত অগস্ট মাসে একবার আরজি করের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সেই সময় কোনও মতে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা পড়লেও পরে আবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতালে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত পোস্টার দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে লেখা সেই পোস্টারগুলি খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এরপরই সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও ঘেরাও করা হয়। তিনি সুগারের রোগী। জলও পর্যন্ত খেতে পারেননি বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে এমারজেন্সি এবং পরে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। এই আন্দোলনের জেরেই এ ভাবে ডেপুটি সুপারকে রাতারাই বদল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: ৬৫ ঘণ্টার আমেরিকা সফরে ২০টি বৈঠক, মার্কিন মুলুকেও ‘কর্মব্যস্ত’ নরেন্দ্র মোদী