PM Narendra Modi: ৬৫ ঘণ্টার আমেরিকা সফরে ২০টি বৈঠক, মার্কিন মুলুকেও ‘কর্মব্যস্ত’ নরেন্দ্র মোদী
Narendra Modi: শুধু হোয়াইট হাউজ়েই নয়, দীর্ঘ উড়ান পথেও বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। বিমানে চারটি বৈঠক করেন তিনি।
নয়া দিল্লি: তিন দিনের সফরে সম্প্রতি আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। হোয়াইট হাউজে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো কোয়াডভুক্ত দেশ (Quad Countries) গুলির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দু’ ডজনের কাছাকাছি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ৬৫ ঘণ্টা মার্কিন মুলুকে ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান। এরই মধ্যে ২০টি বৈঠক করেন নমো। রবিবারই সরকারি সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
শুধু হোয়াইট হাউজ়েই নয়, দীর্ঘ উড়ান পথেও বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। বিমানে চারটি বৈঠক করেন তিনি। কোন বৈঠকই খুব কম সময়ের ছিল না। সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি চলে। আমেরিকা যাওয়ার পথেও যেমন বিমানে বৈঠক করেন তিনি। একই ভাবে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরার সময়ও বৈঠক হয়। বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার বিমানে দু’টি বৈঠক ছিল নরেন্দ্র মোদীর। এর পর হোটেলে ফেরার পর তিনটি মিটিং করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচটি মিটিং করেন তিনি। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার দুই শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনটি অভ্যন্তরীন বৈঠকও করেন। পরদিনই ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পথে রওনা হন তিনি। সূত্রের দাবি, বিমানেও দু’টি বৈঠক ছিল তাঁর।
গত শুক্রবার প্রথমে হোয়াইট হাউজে জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোয়াড অন্তর্ভুক্ত চারটি দেশ ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিনিধি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (Scott Morrison) ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদে সুগা (Yoshihide Suga)।
সেই বৈঠকে মোদী আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তালিবানি দখলে আসার পর আফগানিস্তান যে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হয়ে উঠছে, সেই উদ্বেগের কথাও জানান মোদী। এ কথা জানিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা জানান, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন জারি হওয়ার ক্ষেত্রে যে পাকিস্তানের ভূমিকা আছে, সেই বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছে সব দেশই। বিশেষত সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের উপর কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
শ্রীংলা জানান, এবার থেকে পাকিস্তানের উপর আরও বেশি করে নজর রাখবে কোয়াড, যাতে নজর এড়িয়ে সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দিতে না পারে ইসলামাবাদ। শুধু প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রেই অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও যাতে সেই প্রভাব পড়তে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে কোয়াড।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: কেন ক্লান্ত হন না মোদী! দীর্ঘ বিমান সফর, ম্যারাথন বৈঠক, সামনে এল আসল গোপন রহস্য