কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) -এর মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) গোটা বিষয়টি নজরে রাখছেন। শনিবারই সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
I have extensively reviewed the Disaster Management preparedness with regards to the impending Yaas cyclone today afternoon with all senior officers of relevant Central & State agencies along with DMs & SPs.(1/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 22, 2021
নবান্নের (Nabanna) পাশে প্রশাসনিক ভবন উপান্নতে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। এনডিআরএফ টিম পৌঁছে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। আপৎকালীন ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল— ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।
Fishermen have been alerted to immediately return. 24×7 control rooms have been set up (Ph No – 1070 & 033-22143526). All agencies have been asked to spring into action. Relief materials have been dispatched & Quick Response Teams are mobilised.
I request all to stay alert.(3/3)— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 22, 2021
ইয়াস’-এর মোকাবিলায় জেলায় জেলায় তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হচ্ছে না প্রস্তুতিতে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পাশাপাশি, সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের আগামী কালের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
All officials have been advised integrated command, advance planning & early evacuation from coastal & riverine areas to rescue shelters including cyclone & flood shelters, and to conduct relief and rehabilitation operations at the earliest.(2/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 22, 2021
প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা বন্দরও। ডক শেল্টারে জাহাজগুলিকে রাখার সময়ে প্রয়োজনে অতিরিক্ত চেন বা দড়ি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট জাহাজ বা বোটগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে। ভেসেল ও ক্রেনের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও জাহাজই জেটিতে রাখা যাবে না।
কোভিড বিধি মেনে সেল্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। সম্ভাব্য বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করে এলাকাবাসীকে প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে, দ্রুত তা সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমফানের সময় বহু গাছ উপড়ে পড়েছিল। এবং তা সরাতেও সময় লেগে গিয়েছিল বহু দিন। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় বিভিন্ন জেলার জলবন্দি দশা ধরে পড়েছিল দীর্ঘদিনই। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আমফানের দুর্যোগকেও ছাপিয়ে যাবে ‘ইয়াস’, কোন কোন জেলার কপালে বেশি বিপদ? কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কলকাতা?
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে। আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বিদ্যুৎভবনেও বৈঠক হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত পুরসভাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।