কলকাতা: ঘর মোছারও পয়সা নেয় ডিসান ( Case against Desan Hospital)। এক রোগীর পরিবারের করা অতিরিক্ত খরচ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে প্রতিক্রিয়া দিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “প্যাথলজির চার্জ অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। ঘর মোছার চার্জও নিয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই ডিশান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রদীপ খেমকা নামে বছর একষট্টির এক প্রৌঢ়কে। করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাঁর। হাসপাতালে চারদিন চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
চারদিনে হাসপাতালে বিল হয়েছিল ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। শয্যা ভাড়া ৫২,৫০০ টাকা। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ দেখানো হয়েছিল ৮৬ হাজার টাকা। এরপর অতিরিক্ত বিলের অভিযোগে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন ওই প্রৌঢ়ের ছেলে রাহুল। এদিন মামলার শুনানি ছিল।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “প্যাথলজির চার্জ অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে। ঘর মোছার চার্জও নিয়েছে।” ৯২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ডিসানের বিরুদ্ধে এদিন আরও একটি মামলার শুনানি ছিল। এক্ষেত্রে খিদিরপুরের বাসিন্দা স্বপ্না দে (৬৩) নামে এক রোগীর কাছ থেকে ২৯ ঘণ্টায় ২৮ হাজার টাকা শয্যা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। প্যাথলজির খরচ নেওয়া হয় ৫৫ হাজার টাকা। ঘর মোছার জন্য ৭ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মোট বিল হয়েছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২০২ টাকা।
এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ৪৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল (Case against Desan Hospital)। তবে এদিনের মামলায় স্তম্ভিত চেয়ারম্যানও।