কলকাতা: কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় ভাই ফোঁটার আগেই ৭-২০ টাকা ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। ভাইফোঁটার কেনাকাটায় এখনই নতুন দামে সরিষা কিংবা রিফাইন তেল মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, এখনও অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে ঘোষণা অনুযায়ী কম দামে ক্রেতাদের তেল পেতে।
Delhi | Edible oil prices have declined quite significantly, ranging from a decline of Rs 20, 18, 10, 7 at many places. Decline is witnessed on palm oil, groundnut, soybean, sunflower & all major oils: Sudhanshu Pandey, secretary of the Department of Food and Public Distribution pic.twitter.com/rmAdD2VO8t
— ANI (@ANI) November 5, 2021
অশোধিত পাম অয়েল, সয়াবিন অয়েল এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই কমেছে ভোজ্য তেলের দাম। গত শুক্রবারই খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের সচিব সুধাংশু পান্ডে বলেন, অনেক জায়গাতেই ভোজ্য তেলের দাম ২০ টাকা থেকে ১৮ টাকা কমেছে। আবার কোথাও বেশ উল্লেখযোগ্য ভাবে ১০ টাকা অথবা ৭ টাকা হ্রাস পেয়েছে। বাজারের মোট চাহিদার ৮৯ শতাংশ পূরণ করে থাকে এই তেলগুলি।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পেট্রোপণ্যের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস করা হয়েছে। ডিজেলের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস পেট্রোলের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। পেট্রোল ও ডিজেলের টানা মূল্যবৃদ্ধিতে মুদ্রাস্ফীতিতেও প্রভাব পড়েছে। তার জেরে এই সিদ্ধান্ত।
দিওয়ালির আগে রেকর্ড গতিতে দৌড়চ্ছিল জ্বালানির দাম। দেশের অন্তত ১২টি রাজ্যে ডিজেল অতিক্রম করে গিয়েছিল ১০০ টাকা। পেট্রল ১০০ টাকা পেরিয়েছিল দেশের সব রাজ্যের রাজধানীতেই। আন্তর্জাতিক বাজারে এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছিল ব্যারেল প্রতি জ্বালানির দাম। কেন দাম চড়ছে জ্বালানির? বিশেষজ্ঞদের মত দিয়েছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের চাহিদা বাড়ছে। তার জেরেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাগামহীন। প্রতিদিনই প্রায় ৩০-৩৫ পয়সা করে বাড়ছিল পেট্রোপণ্যের দাম।
পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ভাবা হচ্ছিল। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সচিবের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একটি গ্রুপ তৈরি করতে চলেছেন, যেখানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি রিফাইনারিগুলিকেও রাখা হয়েছিল।
দীপাবলির আগেই অর্থমন্ত্রকের তরফে বড় ঘোষণা। ভারত সরকার ডিজেল এবং পেট্রোলের উপর আবগারি শুল্ক অনেকটাই কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ডিজেলের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস পেট্রোলের তুলনায় দ্বিগুণ। পেট্রোল ও ডিজেলের টানা মূল্যবৃদ্ধিতে মুদ্রাস্ফীতিতেও প্রভাব পড়েছে। তার জেরে এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: ‘অভিভাবকের’ প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিষেক, মনে করালেন পারিবারিক সম্পর্কের কথা